বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস

বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF

বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস

নিচে বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস


আলোচ্য পোস্টে বাংলা গানের ইতিহাস এর গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


বাংলা গানের ইতিহাস রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস



প্রশ্ন: বাংলা গানের ধারায় কিশোর কুমারের অবদান আলোচনা করো।

Ans: বাংলা তথা ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে এক উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক হলেন কিশোর কুমার (১৯২৯ – ১৯৮৭)। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বাধিক সফল এবং সর্বকালের সেরা নেপথ্য গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। 

১৯২৯ সালের চৌঠা আগস্ট মধ্যপ্রদেশের এক বাঙালি পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়।

তাঁর দাদা অশোক কুমার বোম্বের একজন সফল অভিনেতা ছিলেন। অভিনয়ে কিশোর কুমারের কোনো আগ্রহ ছিল না, তিনি বরাবর গান গাইতেই চাইতেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গীতের প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছিল না। প্রথম জীবনে তিনি কে এল সায়গলকে অনুকরণ করতেন। পরে, বিখ্যাত সুরকার শচীনদেব বর্মনের পরামর্শে তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৪৮ সালে ‘জিদ্দি’ ছবির মাধ্যমে তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে ষাটের দশক থেকেই তিনি গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং সত্তরের দশকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যান।

তিনি বাংলা, হিন্দি, ভোজপুরি, অসমিয়া-সহ অনেকগুলি ভারতীয় ভাষায় মোট ২০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি ৮ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তবে, শিল্পী হিসেবে কিশোর কুমারের সবথেকে বড় প্রাপ্তি হল তার বিপুল জনপ্রিয়তা, যে কারণে তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সঙ্গীতের প্রথাগত প্রশিক্ষণ না থাকা স্বত্বেও তিনি যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।


প্রশ্ন: বাংলা সংগীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা করো।

Ans: বাংলা সঙ্গীতের ধারায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯- ১৯৭৬) নিজেই যেন একটা অধ্যায়। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সর্বোপরি একজন সঙ্গীতজ্ঞ। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা তিন হাজারের কিছু বেশি এবং এগুলি বাঙালি সংস্কৃতির অতুলনীয় সম্পদবিশেষ।

গীতিকার হিসেবে নজরুলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯২৮ সালে, গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানির গীতিকার হিসাবে। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে নজরুলের শিল্পী জীবনের সূত্রপাত হয় ছোটবেলাতেই। লেটোর দলে কাজ করার সময়ই তাঁর গান রচনার সূচনা হয়েছিল। এই ভ্রাম্যমাণ যাত্রাদলের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে নজরুল বাংলার লোকসঙ্গীতের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন এবং একইসঙ্গে হিন্দু পুরাণ-সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। আবার, সৈনিক হিসেবে মিলিটারি ব্যান্ডের মাধ্যমে তিনি পাশ্চাত্য সঙ্গীত ও ফারসি কবিতার সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁর বিচিত্র জীবন-অভিজ্ঞতা গীতিকার নজরুলকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিল।

নজরুলের সঙ্গীত প্রতিভা বিচিত্র এবং বহুমুখী। তাঁর গানগুলিকে নিম্নোক্ত শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।

দেশাত্মবোধক গান: ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল’ ইত্যাদি।

গজল: ‘আসে বসন্ত ফুলবনে’, ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘দুরন্ত বায়ু পুরবইয়া’, ‘চেয়ো না সুনয়না’, ‘বসিয়া নদীকূলে’ ইত্যাদি।

রাগাশ্রয়ী: বিভিন্ন রাগ-রাগিনী ব্যবহার করে নজরুল অসংখ্য গান লিখেছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল- ‘ভোরের হাওয়া এলে ঘুম ভাঙাতে’ (রামকেলী), ‘আমার কোনো কূলে আজ ভিড়লো তরী’ (খাম্বাজ-দাদরা) ইত্যাদি।

হিন্দু ভক্তিগীতি: ‘শ্যামা বড়ো লাজুক মেয়ে’, ‘জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী’, ‘জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী’ ইত্যাদি।

ইসলামি গান: ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’, ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে’, ‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে’ প্রভৃতি।

লোকসংগীত:  ‘আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল’, ‘সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ’, ‘কুচ বরণ কন্যারে’ ইত্যাদি।

প্রভাবিত গান: দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গানের সুরে প্রভাবিত হয়ে নজরুল যেসব গান রচনা করেছিলেন, সেগুলিকে প্রভাবিত গান বলা হয়। যেমন, ‘মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে’, ‘দূর দ্বীপবাসিনী’ ইত্যাদি।

এছাড়াও রয়েছে হাস্যরসাত্মক এবং প্যারোডি গান, নতুন তালের গান, হিন্দি গান এবং ছায়াছবির গান। এইভাবে তাঁর গানে বাংলা সঙ্গীতের সমস্ত ধারার মিলন ঘটেছে।


প্রশ্ন: বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলোচনা করো।

Ans: বাংলা তথা ভারতীয় সংগীতের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল সলিল চৌধুরী (১৯২৩- ১৯৯৫)। প্রথম জীবনে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ‘বিচারপতি’, ‘রানার’, ‘অবাক পৃথিবী’র মতো বহু সার্থক গণসঙ্গীতের স্রষ্টা তিনি।

বাংলা চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৪৯ সালে ‘পরিবর্তন‘ ছবির মাধ্যমে। ‘বাঁশের কেল্লা’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘গঙ্গা’, ‘কিনু গোয়ালার গলি’, ‘লালপাথর’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘হারানের নাতজামাই’ প্রভৃতি বহু বাংলা ছবিতে তিনি সুরারোপ করেছিলেন।

১৯৫৩ সালে নির্মিত ‘দো বিঘা জমিন‘ ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমার সংগীতকার হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু হয়। এরপর একে একে ‘জাগতে রহো’, ‘মুসাফির’, ‘মধুমতি’, ‘হাফটিকিট’, ‘আনন্দ’, ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ সহ প্রায় ৭৫ টি হিন্দি সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন।

বাংলা, হিন্দি ছাড়াও তিনি প্রায় ২৬টি মালায়ালাম ছবিতে এবং বেশ কিছু তামিল, কন্নড়, তেলুগু, মারাঠি, অসমিয়া, গুজরাটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

বিশেষত্ব

১) তিনি একাধারে একজন সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার, কবি, গল্পকার এবং একজন সার্থক আয়োজক ছিলেন।

২) তাঁর গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

৩) বাংলা গানে পাশ্চাত্য সংগীতের ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রপথিক।

৪) তিনি প্রথম ‘কয়্যার’ সংগীতের প্রবর্তন করেন।

৫) তিনি প্রকৃত অর্থেই সুরের জাদুকর ছিলেন। সুর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন এবং তাঁর গানে সেগুলি প্রয়োগ করতেন। তাঁর সংগীতপ্রতিভা ছিল বহুমুখী এবং সৃজনশীল।


প্রশ্ন: বাংলা গানের ধারায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা কর।

Ans: বাংলা গানের ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (১৯২০- ১৯৮৯)। তিনি একাধারে গায়ক, সংগীত নির্দেশক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগের অন্যতম একজন কারিগর।

১৯৩৭ সালে শৈলেশ দত্তগুপ্তের তত্ত্বাবধানে বেসিক ডিস্কের গানে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৪১ সালে ‘নিমাই সন্ন্যাস’ ছবিতে গান গেয়ে নেপথ্য শিল্পী হিসাবে তাঁর পথচলা শুরু হয়। এরপর একে একে ‘শাপমােচন, ‘হারানাে সুর’, ‘সন্দীপন পাঠশালা’, ‘সূর্যতােরণ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘সাত পাঁকে বাঁধা’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘নীল আকাশের নীচে’ প্রভৃতি অসংখ্য ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। বাংলা ছায়াছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে যেমন তাঁর খ্যাতি, তেমনি সুরকার হিসেবেও তিনি বহু ছবিতে কাজ করেছেন।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীতপ্রতিভা কেবল বাংলা ছায়াছবির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, গায়ক এবং সুরকার হিসাবে তিনি বহু হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন। হিন্দি গানের জগতে তিনি হেমন্তকুমার নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘ও নদী রে’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’, ‘এই রাত তােমার আমার’, ‘আয় খুকু আয়’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘নীড় ছােটো ক্ষতি নেই’, প্রভৃতি গানগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।

শুধুমাত্র ছায়াছবির গান বা বাংলা আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে নয়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রসঙ্গীতেরও একজন খ্যাতনামা শিল্পী ছিলেন। হেমন্তর কন্ঠে রবি ঠাকুরের গান বাঙালি শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করে।


প্রশ্ন: বাংলা ব্যান্ডের গান সম্পর্কে আলোচনা কর।

অথবা, প্রথম বাংলা ব্যান্ড কোনটি? ব্যান্ডটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

Ans: বাংলা তথা ভারতের যেকোনো প্রাদেশিক ভাষায় প্রথম গানের ব্যান্ড হল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’।

বাঙালি সঙ্গীতপ্রিয় জাতি। নব্যভারতীয় আর্যভাষায় লিখিত প্রথম গানের সংকলন ‘চর্যাপদ’ সেই বাংলা ভাষায় লিখিত, তেমনি ভারতের প্রথম গানের ব্যান্ড (প্রাদেশিক ভাষায়) তৈরি হয়েছিল এই বাংলাতেই। যে সময় এই ব্যান্ডটির জন্ম হয় তখন বাংলা সিনেমার গানের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশস্পর্শী। কিন্তু সে সব গান ছিল বাস্তববিমুখ। সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কহীন সেইসব গান ছিল কেবলই শিল্প। ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ছিল এই গতানুগতিকতার বাইরে যাওয়ার একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।

নামকরণ: এই ব্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে  জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘ঘোড়া’ কবিাতার দ্বিতীয় পংক্তি থেকে। যদিও ব্যান্ডটির নামের সঙ্গে গানগুলির তেমন কোনো সম্পর্ক নেই তবু এই নামকরণের একটি তাৎপর্য আছে। সেটি হল- জীবনানন্দ যেমন বাংলা কাব্যে আধুনিকতার সূচনা করেছিলেন, এই ব্যান্ডটিও তেমনি বাংলা গানে নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে চেয়েছিল। 

সদস্যবৃন্দ: এই ব্যান্ডের প্রধান সদস্য ছিলেন সাত জন। যথা- গৌতম চট্টোপাধ্যায় (দলনেতা), বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, এব্রাহাম মজুমদার, তাপস দাস ও তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।

অ্যালবাম: এই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘সংবিগ্ন পাখিকূল ও কলকাতা বিষয়ক'(১৯৭৭)। পরের বছর প্রকাশ পায় অজানা উড়ন্ত বস্তু বা অ-উ-ব (১৯৭৮) এবং তৃতীয় বছরে আরেকটি অ্যালবাম ‘দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি’ (১৯৭৯)।

প্রভাব: যেসময় ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের জন্ম হয় তখন ব্যান্ডের গান শোনার মতো উপযুক্ত বাঙালি শ্রোতা বেশি ছিল না। তাই ব্যান্ডটিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিন্তু পরবর্তীকালের বাংলা ব্যান্ডগুলির কাছে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ছিল পথপ্রদর্শক।এই ব্যান্ডকে অনুসরণ করেই চন্দ্রবিন্দু, ভূমি, ক্যাকটাস, পরশপাথর প্রভৃতি বাংলা ব্যান্ডের পথচলা শুরু হয়েছিল।


প্রশ্ন: বাংলা সঙ্গীতের ধারায় অতুলপ্রসাদ সেনের কৃতিত্ব আলোচনা কর ?

Ans: বাংলা সঙ্গীতের জগতে অতুলপ্রসাদ সেন একজন উল্লেখযোগ্য বাক্তি (১৮৭১-১৯৩৪খ্রি)। অতুলপ্রসাদ একধারে সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার, সঙ্গীত বিশারদ এবং শিল্পী ছিলেন। তাঁর রচিত গান গুলিকে ৫ টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়-

রাগাশ্রয়ী গান: গানের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাগ মিশ্রণের ফলে তাঁর রাগাশ্রয়ী গান গুলি অনন্যসাধারণ হয়ে উঠেছে। ‘ডাকে কোয়েলা বারে বারে’ ‘মুরুলি কাঁদে রাঁধে রাঁধে’ প্রভৃতি গানগুলি বিশেষভাবে রসোত্তীর্ণ হয়েছে।

গজল, টপ্পা ও ঠুংরি – বাংলা ভাষার গজল রচনায় অতুলপ্রসাদ পথিকৃত ছিলেন। ‘কে গো তুমি বিরহিণী’, ‘কত গান তো হল গাওয়া’ প্রভৃতি গানগুলি উল্লেখযোগ্য। তাঁর টপ্পা ও ঠুংরি গানে উত্তরপ্রদেশের কাজরি ও লগনী গানের  প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

স্বদেশী সঙ্গীত: ‘ওঠো গো ভারত লক্ষী’, ‘বলো বলো বলো সবে’ প্রভৃতি স্বদেশ গীতিগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।

ঋতু সঙ্গীত: অতুল প্রসাদের অনেক গানের বিভিন্ন ঋতু সার্থকভাবে চিত্রিত হয়েছে। যেমন-  ‘বধুয়া নিদ নাহি আঁখিপাতে’, ‘আইল আজি বসন্ত মরি মরি’ প্রভৃতি গানগুলি যথার্থ ঋতুসঙ্গীতে হয়ে উঠেছে।

অনান্য: উপরোক্ত শ্রেণী ছাড়াও অতুলপ্রসাদ বাউল কীর্তন, ভাটিয়ালি প্রভৃতি দেশজ সুরে বহু গান রচনা করেছেন। তাঁর লেখা গান গুলি ‘কাকলি’,‘কয়েকটি গান’,‘গীতগুঞ্জ’ এই তিনটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।


প্রশ্ন: বাংলা সঙ্গীতে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কৃতিত্ব আলোচনা কর।

Ans: বাংলা সঙ্গীতের ধারায় রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক আর একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব হলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তাঁর পিতা কার্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় ছিলেন কৃষ্ণনগর রাজসভার দেওয়ান এবং উনিশ শতকের প্রথম দিকে খেয়াল-চর্চাকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেই সুত্রে দ্বিজেন্দ্রলালেরও ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের উপর বিশেষ দখল ছিল। ১৮৮৪ খ্রি ইংল্যান্ডে বসবাসকালীন বিদেশি সুরের সান্নিধ্যে আসেন এবং নিজ প্রতিভাবলে সেগুলি আত্মস্থ করেন। দ্বিজেন্দ্রলালের গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, বাউল, স্বদেশী গান এবং প্যারোডি- ভারতীয় সঙ্গীতের বিচিত্র শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরন ছিল। ভারতীয় সঙ্গীতের কমনীয়তা এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রানশক্তি দ্বিজেন্দ্রলালের গানগুলিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

দ্বিজেন্দ্রলালের সবচেয়ে বেশী খ্যাতি নাট্যকার হিসেবে। প্রায় সমস্ত নাটকেই তিনি সার্থকভাবে  গানের প্রয়োগ করেছেন। ‘সাজাহান’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’, ‘রানাপ্রতাপ’, ‘মেবার পতন’ প্রভৃতি নাটকগুলির গানও বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর ‘সোরাবরুস্তম’ নাটকটি বিদেশি অপেরার ঢঙে রচিত হয়েছিল। আবার কোরাস গানের  প্রয়োগেও তিনি পথিকৃৎ ছিলেন।

তাঁরই সুযোগ্য পুত্র দিলীপ কুমার রায় দ্বিজেন্দ্রলালের গানগুলিকে ৫ ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- পূজা, দেশ, প্রেম, প্রকৃতি, এবং বিবিধ। তবে স্বদেশসঙ্গীতগুলির কারনেই দ্বিজেন্দ্রলাল চিরস্মরনীয় থাকবেন। ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’, ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’ প্রভৃতি গানগুলি বাঙালির অন্তরে স্থায়ী আসন লাভ করেছে। ‘আর্যগাথা’ গীতি সংকলনে তাঁর গানগুলি লিপিবদ্ধ রয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সঙ্গীতের টপ্পা গানের ধারাটি সম্পর্কে আলোচনা কর ?

Ans: ভারতীয় সঙ্গীতের একটি ধারা হল টপ্পা যা উনিশ শতকে বাংলায় প্রচলিত ছিল। পাঞ্জাবের লোকগান ‘ডপা’ বা ‘টপে’ থেকে টপ্পার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এটি মুলত মেয়েদের গান। নরনারীর প্রেম এবং নারী হৃদয়ের আকুতি টপ্পা গানের বিষয়। এই গানের বিশেষত্ব হল- এগুলি  স্থায়ী এবং আন্তরায় নিবদ্ধ এবং এর লয় দ্রুত। কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গীতসুত্রসার’ অনুসারে টপ্পা শব্দের মূল অর্থ উল্লম্ফন বা লাফ, বিশিষ্ট অর্থে সংক্ষিপ্ত। ধ্রুপদ ও খেয়াল থেকে যে গান সংক্ষিপ্ততর তাই হল টপ্পা। বাংলাদেশে টপ্পা গানকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন নিধিবাবু বা রামনিধি গুপ্ত।

নিধিবাবু যে টপ্পা গান বাংলায় প্রচলন করেন তা দ্রুততান-বর্জিত, জমজমা এবং সুরের উল্লাম্ফন পরিমানে অনেক কম ছিল। ‘গীতরত্ন’ নামক গ্রন্থে নিধিবাবুর ৫৫৩ টি গান সংকলিত রয়েছে। তাঁর গানগুলি অন্তরের গভীর আবেগে পরিপূর্ণ। দ্রুত লয়ের পরিবর্তে বিলম্বিত লয়ে রচিত তাঁর গান গুলি হৃদয় স্পর্শ করে।

টপ্পাগানের আর একজন প্রবাদপ্রতিম শিল্পী হলেন কালীদাস  চট্টোপাধ্যায় বা কালি মির্জা। ইনি নিধিবাবুর থেকে বয়সে ছোট ছিলেন। কালিদাসের শিক্ষা বারাণসী, লক্ষ্নৌ এবং দিল্লিতে। নিধুবাবুর গানের সঙ্গে কালিদাসের গানের যে পার্থক্য ছিল তাঁর মূল কারন দুজনের পৃথক ঘরানা। কালিদাস বর্ধমান এবং গুপ্তি পাড়ায় তাঁর শিষ্য পরম্পরা তৈরি করেন। অম্বিকাচরণ, উমানাথ ভট্টাচার্য, নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখ তাঁর শিষ্যদের অন্যতম। স্বয়ং রামমোহন রায় তাঁর শিষ্য ছিলেন। তাঁর ২৩৭ টি গান ‘গীতলহরী’ নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়ে আছে।


প্রশ্ন: বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের ভূমিকা ?

Ans: রবীন্দ্রনাথের প্রায় সমকালীন আর একজন বাঙ্গালি সঙ্গীত বিশেষজ্ঞের নাম হল রজনীকান্ত সেন (১৮৬৫-১৯১০)। বয়সে তিনি রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ছোট ছিলেন। তবুও তাঁর স্বল্প আয়ুষ্কালে তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছিলেন। ‘বাণী’ ও ‘কল্যাণী’ গ্রন্থদুটিতে রজনীকান্তের গানগুলি সংকলিত হয়ে আছে। তাঁর গানগুলিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায় –

স্বদেশ সঙ্গীত; ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই’, ‘নমো নমো নমো জননী বঙ্গ’ প্রভৃতি দেশাত্মবোধক গান একসময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। যদিও সংখ্যায় কম তবুও তার স্বদেশ সঙ্গীত গুলি যথেষ্ট উৎকৃষ্ট মানের ছিল।

হাসির গান: রজনীকান্ত বেশকিছু হাসির গান লিখেছিলেন – ‘যদি কুমড়োর মতো চালে ধরে রতো/ পান্তুয়া শত শত’, প্রভৃতি গান এই শ্রেণীতে পড়ে।

ভক্তিগীতি: রজনীকান্ত মুলত তার ভক্তিগীতির জন্য বাঙালির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার লেখা ভক্তিগীতিগুলি বাণী, সুর, ভাব, কাব্যমাধুর্য, নিজস্বতা এবং সহজ চলনের জন্য বাংলা গানের ভুবনে বিশিষ্ট হয়ে আছে। এই পর্যায়ের একটি বিশিষ্ট গান হল—‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।

বাঙ্গালী সমাজে রজনীকান্ত সেন ‘কান্ত কবি’ এবং তাঁর গান ‘কান্তগীতি’ নামে প্রসিদ্ধ। অনুপ ঘোষাল, পান্না লাল ভট্টাচার্য, হেমন্ত ভট্টাচার্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ স্বনামধন্য শিল্পীরা কান্তগীতি গেয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন।


প্রশ্ন: রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

Ans: রবীন্দ্রনাথের প্রথম পরিচয় তিনি কবি। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠাকারী বিশ্ববরেণ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু সাহিত্য এবং শিল্পের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি স্বাক্ষর রাখেননি। বাংলা গানের জগতেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি মাইলফলক বিশেষ। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, শিল্পী এবং সঙ্গিত বিশারদ। আনুমানিক ২২৩২ টি গান তিনি রচনা করেছিলেন যেগুলি ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েয়াছে। ‘স্বরবিতান’ গ্রন্থের ১৯৩১ টি গানের স্বরলিপি তাঁরই তৈরি করা।

সুর এবং বাণীর দিক থেকে  রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

ধ্রুপদ ও ধামার: রবীন্দ্রনাথ মোট ৭৭ ধ্রুপদ রচনা করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ‘প্রথম আদি তব শক্তি’, ‘মহাবিশ্বে  মহাকাশে’ প্রভৃতি।

খেয়াল ও ঠুংরি: হিন্দি খেয়াল ও ঠুংরির অনুসরনে উচাঙ্গ সঙ্গীতে ব্যাবহার করে রবীন্দ্রনাথ প্রায় ৩০০ গান সৃষ্টি করেছেন। অবশ্য মৌলিক খেয়াল ও রয়েছে ৫৫ টির মতো। তাঁর রচিত দুটি খেয়াল হল- ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’, ‘অনেক দিয়েছ নাথ’ প্রভৃতি।

টপ্পা: রবীন্দ্রনাথ হিন্দি টপ্পা অনুসরণে ১৪ টি এবং নিজস্ব শৈলীতে ২৫ টি টপ্পা গান রচনা করেছেন। যেমন- ‘তবু মনে রেখো’ প্রভৃতি।

লোকসঙ্গীত: ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’, ‘মেঘের কোলে কোলে’ প্রভৃতি লোকসঙ্গীত আজও সমান জনপ্রিয় হয়ে আছে।

ভাঙ্গাগানা: হিন্দি এবং অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষার সুরে অনুপ্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ যেসকল গান রচনা করেছিলেন সেগুলি ভাঙ্গাগান নামে পরিচিত। যেমন- ‘বড় আশা করে’, ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ প্রভৃতি।

উপরের ভাগগুলি ছাড়াও বিষয় বিশিষ্ট অনুসারে রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীতকে নানা ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- আধ্যাত্মিক সঙ্গীত, প্রেম সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, শিশু সঙ্গীত প্রভৃতি।


প্রশ্ন: বাংলা গানের ইতিহাসের মান্না দের অবদান উল্লেখ কর ?

Ans: বাংলা আধুনিক গানের একজন খ্যাতনামা গায়ক হলেন মান্না দে  তাঁর পিতৃদত্ত নাম ছিল প্রবোধ চন্দ্র দে। তাঁর সঙ্গীতশিক্ষা শুরু হয় কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছে এবং তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তলিম নিয়েছিলেন ওস্তাদ দবির খাঁ-এর কাছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি ওস্তাদ আমন আলি খান, ওস্তাদ আব্দুল রহমান খান প্রমুখের কাছে  সঙ্গীত শিক্ষা নিয়েছিলেন।

মান্না দে-র নেপথ্য শিল্পী হিসেবে কর্ম জীবনের শুরু হয় একটি হিন্দি ছবি দিয়ে। ১৯৪২ সালে মুক্তিপাপ্ত ‘তামান্না’ ছবিতে সুরাইয়া–র সঙ্গে ‘জাগো, আয়ি ঊষা’ গানটি। পরবর্তী কালে বাংলা ছায়াছবির নেপথ্য শিল্পী হিসেবে তিনি অনেক গান গেয়েছেন। ‘লালনফকির’, ‘বৈকুণ্ঠের উইল’, ‘গনদেবতা’, ‘দেবদাস’, ‘সন্ন্যাসিরাজা’, ‘মৌচাক’ প্রভৃতি বাংলা ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও মান্না দে ভোজপুরি, মৈথিলী, পাঞ্জাবি, উড়িয়া, আসামিয়া, গুজরাঠি, মারাঠি, নেপালি, কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন।

মান্না দের কণ্ঠে যে গান গুলি বাঙালির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সেগুলি হল- ‘কফি হাউসের সেই  আড্ডাটা আজ আর নেই’, ‘আমি যে জলসাঘরে’, ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা’, ‘আমায় একটু জায়গা দাও’ ইত্যাদি। ভারতীয় সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী (১৯৭১), পদ্মভূষণ (২০০৫), এবং দাদা সাহেব ফালকে (২০০৭) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে। তাছাড়াও ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area