মাধ্যমিকের বাংলা সৈয়দ আলাওলের সিন্ধুতীরে প্রশ্ন ও উত্তর - Sindhutire by Syed Alaol Questions and Answers

সৈয়দ আলাওলের সিন্ধুতীরে প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিবছর মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন (Sindhutire by Syed Alaol Questions and Answers Madhyamik Bengali Suggestion) থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক বাংলা সিলেবাসের সৈয়দ আলাওলের "সিন্ধুতীরে" র সমস্ত প্রশ্নোত্তর। 

এখানে মাধ্যমিক বাংলা ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতার প্রশ্ন উত্তর যেমন বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল। যে গুলি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। নিচে Sindhutire by Syed Alaol Questions and Answers ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতার MCQ, SAQ প্রশ্ন উত্তর গুলি যত্ন সহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

মাধ্যমিকের বাংলা সৈয়দ আলাওলের সিন্ধুতীরে প্রশ্ন ও উত্তর - Sindhutire by Syed Alaol Questions and Answers




মাধ্যমিকের বাংলা সৈয়দ আলাওলের সিন্ধুতীরে প্রশ্ন ও উত্তর - Sindhutire by Syed Alaol Questions and Answers



সিন্ধুতীরে - সৈয়দ আলাওল

‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



সিন্ধুতীরে MCQ প্রশ্নোত্তর - সিন্ধুতীরে কবিতার MCQ প্রশ্নোত্তর (বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর) - Sindhutire MCQ Questions and Answers

১. ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের কোন্ খণ্ডেব তৰ্গত ?

(ক) দেশযাত্রা 

(খ) খিলখণ্ড 

(গ) পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড 

(ঘ) রত্নসেন-সাথীখণ্ড

উত্তরঃ (গ) পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড


২. “দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার”-এ নিপতিতা হয়েছিল

(ক) কবি 

(খ) পদ্মাবতী 

(গ) রত্নসেন 

(ঘ) সমুদ্রকন্যা

উত্তরঃ (খ) পদ্মাবতী


৩. “কন্যারে ফেলিল যথা…!”–কন্যাকে ফেলেছিল

(ক) সমুদ্রতীরে 

(খ) রাজপুরীতে 

(গ) সমুদ্রের মাঝখানে 

(ঘ) পুষ্প কাননে

উত্তরঃ (গ) সমুদ্রের মাঝখানে


৪. দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার।’—“দিব্য পুরী’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে

(ক) রাজপুরী 

(খ) স্বর্গীয় পুরী 

(গ) কুৎসিতপুরী 

(ঘ) পাতালপুরী

উত্তরঃ (খ) স্বর্গীয় পুরী


৫. “নাহি তথা দুঃখ ক্লেশ…”—কোথায় ‘দুঃখ ক্লেশ’ ছিল না?

(ক) রাজপুরীতে 

(খ) স্বর্গলোকে 

(গ) মর্ত্যলোকে 

(ঘ) দিব্যপুরীতে

উত্তরঃ (ঘ) দিব্যপুরীতে


৬. “সমুদ্রনৃপতি সুতা…।”—সমুদ্রপতি সুতা কে?

(ক) পদ্মা 

(খ) গঙ্গা 

(গ) যমুনা 

(ঘ) বেহুলা

উত্তরঃ (ক) পদ্মা


৭. সিন্ধুতীরের উপরের পর্বত ছিল-

(ক) ঘরবাড়িতে পূর্ণ 

(খ) ফল-ফুলে সজ্জিত

 (গ) পশুপাখিতে ভরা 

(ঘ) জল-মানুষে পূর্ণ

উত্তরঃ (খ) ফল-ফুলে সজ্জিত


৮. “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি…।”—“টঙ্গি’ হল

(ক) দড়ি 

(খ) ছবি 

(গ) প্রাসাদ 

(ঘ) ফুল

উত্তরঃ (গ) প্রাসাদ


৯. “সখীগণ করি সঙ্গে…।”—সখীদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মাবতী কোথায় আসত?

(ক) উদ্যানে 

(খ) রাজপুরীতে 

(গ) খেলার মাঠে 

(ঘ) রাজদরবারে

উত্তরঃ (ক) উদ্যানে


১০. “রূপে অতি রম্ভা জিনি…।”–রম্ভা হল

(ক) পদ্মাবতীর সখী 

(খ) সতী নারী 

(গ) স্বর্গের অপ্সরাবিশেষ 

(ঘ) নারদের স্ত্রী

উত্তরঃ (গ) স্বর্গের অপ্সরাবিশেষ


১১. সমুদ্রকন্যা কীসে রম্ভাকে জয় করেছে?

(ক) কথায় 

(খ) রূপে 

(গ) অর্থে 

(ঘ) জীবনী শক্তিতে

উত্তরঃ (খ) রূপে


১২. “বিস্মিত হইল বালা…।”—বালা কী দেখে বিস্মিত হয়েছিল?

(ক) নিপতিতা কন্যার অচৈতন্য অবস্থা দেখে 

(খ) নিপতিতা কন্যার কুৎসিত রূপ দেখে 

(গ) নিপতিতা কন্যার রূপের বাহার দেখে 

(ঘ) নিপতিতা কন্যার চাহনি দেখে

উত্তরঃ (গ) নিপতিতা কন্যার রূপের বাহার দেখে


১৩. অনুমান করে নিজ চিতে।” –‘নিজ চিতে’ বলতে বোঝানো হয়েছে

(ক) নিজ মনে 

(খ) নিজ হাতে 

(গ) নিজ বুদ্ধিতে 

(ঘ) নিজ কর্মফলে

উত্তরঃ (ক) নিজ মনে


১৪. “বেথানিত হৈছে কেশ-বেশ।”–‘বেথানিত’ অর্থে

(ক) বেদনাযুক 

(খ) অসংবৃত 

(গ) দৃষ্টিগোচর 

(ঘ) ব্যাথায় নত

উত্তরঃ (খ) অসংবৃত


১৫. “বাহুর কন্যার জীবন।”—‘বাহরক’ শব্দের অর্থ হল

(ক) হস্তদ্বারা 

(খ) ফিরে আসুক 

(গ) অবসান হোক 

(ঘ) বেরিয়ে যাক

উত্তরঃ (খ) ফিরে আসুক


১৬. “দণ্ড চারি এই মতে…।”—‘দণ্ড চারি’ হল

(ক) ৬০ মিনিট 

(খ) ৭০ মিনিট 

(গ) ৯০ মিনিট 

(ঘ) ৯৬ মিনিট

উত্তরঃ (ঘ) ৯৬ মিনিট


১৭. “বহু যত্নে চিকিৎসিতে”–চেতনা ফিরে পেল

(ক) পঞ্চকন্যা 

(খ) চিতোরের কন্যা 

(গ) চিতোরের রানি 

(ঘ) নাগকন্যা

উত্তরঃ (ক) পঞ্চকন্যা



সিন্ধুতীরে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - সিন্ধুতীরে কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Sindhutire SAQ Question Answer

১. “কন্যারে ফেলিল যথা…।”–কন্যাকে কোথায় ফেলা হয়েছিল?

উত্তরঃ কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে।

২. “অতি মনোহর দেশ…।”—কোন্ দেশকে ‘অতি মনোহর’ বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে ‘অতিমনোহর দেশ’ বলা হয়েছে।

৩. “তার পাশে রচিল উদ্যান।।”—কার পাশে উদ্যান রচনা করা হয়েছিল?

উত্তরঃ সমুদ্রতীরে যে-দিব্যস্থান ছিল—তার ওপরে ফল-ফুলে সজ্জিত পর্বতের পাশে উদ্যান রচনা হয়েছিল।

৪. “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি”—কোথাই ‘বিচিত্র টঙ্গি’ ছিল?

উত্তরঃ সিন্ধুতীরে দিব্যস্থানে যে-সুন্দর উদ্যান—সেই উদ্যানেই ছিল বিচিত্র টঙ্গি।

৫. “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।”—উদ্ধৃতাংশে কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে রূপকথার সমুদ্রপুরীর সমুদ্রকন্যা সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে।

৬. “সিন্ধুতীরে রহিছে মাস।।” – উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ কী? তা কীসের জন্য রয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার যাতায়াতের জন্য রয়েছে।

৭. “অনুমান করে নিজ চিতে।”—কে, কী অনুমান করে ?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের হৃদয়ে অনুমান করে যে, হয়তো কোনো স্বর্গীয় অপ্সরী দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে মর্তে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।

৮. “দেখে চারি সখী চারিভিত।” – উদ্ধৃতাংশে কোন্ চার সখীর কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে মূৰ্ছিতা পদ্মাবতীর চারদিকে যে চারজন সখী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।

৯. “বেকত দেখিয়ে আঁখি”—উদ্ধৃতাংশটি কোন কবিতার অন্তর্গত? ‘বেকত | কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি ‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কবিতার অন্তর্গত এবং ‘বেকত’ কথাটির অর্থ হল প্রকাশিত।

১০. “মোহিত পাইয়া সিন্দু-ক্লেশ।।”—কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা মূৰ্ছিত পদ্মাবতীকে দেখে অনুমান করেছেন যে, হয়তো সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে নৌকা ভেঙে সমুদ্র-ক্লেশে পীড়িত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে।

১১. “বাহুরক কন্যার জীবন।”–‘বাহুরক’কথাটির অর্থ কী? কোন কন্যার জীবন সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘বাহুরক’কথাটির অর্থ হল ফিরে আসুক। অচৈতন্য কন্যা পদ্মাবতী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।

১২. “বিধি মোরে না কর নৈরাশ।।”—উক্তিটি কার? তার এরূপ উক্তির কারণ কী?

উত্তরঃ উক্তিটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার। সে স্নেহপ্রবণ মন থেকে অচৈতন্য পদ্মাবতীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার থেকে যেন সে বঞ্চিত না-হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনাটাই তার মুখ্য প্রত্যাশা। তাই সে এমন উক্তি করেছে।

১৩. “উদ্যানের মাঝে নিল/পঞজনে বসনে ঢাকিয়া।” –কে, কাদের উদ্যানের মাঝে নিল?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল।

১৪. “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”—পকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে অচৈতন্য পঞ্চকন্যাদের বহু যত্নে সেবা শুশ্রুষা করে চেতনা ফিরিয়ে আনল।

১৫. “চিকিৎসিমু প্রাণপণ /কৃপা কর নিরঞ্জন”—এ আবেদন কার ?

উত্তরঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাংশে এ-আবেদন পদ্মার।

১৬. সখীরা অচৈতন্য কন্যার কতক্ষণ চিকিৎসা করেছিল ?

উত্তরঃ সখীরা অচৈতন্য কন্যার চারদণ্ড ধরে চিকিৎসা করেছিল।

১৭. ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে?

উত্তরঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কবি সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে।

১৮. কবি সৈয়দ আলাওল কোন সময়ের কবি ছিলেন

উত্তরঃ সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতকের কবি ছিলেন।

১৯. ‘বাহুরক কন্যার জীবন’- কীভাবে পঞ্চকন্যা জীবন ফিরে পাবে বলে পদ্মার বিশ্বাস ছিল?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার বিশ্বাস এই যে, তার পিতার পুণ্যফলে এবং তার নিজের ভাগ্যের জোরে উক্ত পঞ্চকন্যা পুনরায় জীবন ফিরে পাবে।

২০. ‘অতি মনােহর দেশ’ – সেই দেশকে মনােহর বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ সেই দেশ অর্থাৎ সমুদ্র-মধ্যবর্তী দিব্যপুরীকে ‘অতি মনোহর দেশ’ বলা হয়েছে কারণ সেখানে দুঃখ যন্ত্রণা ছিল না এবং সর্বদাই সত্য-ধর্ম-সদাচার বিরাজ করতো।

২১. ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’ – ‘কন্যা’ কোথায় থাকে?

উত্তরঃ ‘কন্যা’ অর্থাৎ সমুদ্রদুহিতা পদ্মা সমুদ্রতীরের পাশেই এক দিব্যস্থানে বহুরত্নশোভিত প্রাসাদে থাকত।

২২. ‘অচৈতন্য পড়িছে ভূমিতে।’ – কী কারণে অচৈতন্য হয়ে ভূমিতে পড়েছে?

উত্তরঃ সামুদ্রিক ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে চারসখী সহ পদ্মাবতী ভূমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল।

২৩. ‘বিধি মােরে না কর নৈরাশ।’ – বিধির কাছে এই প্রার্থনা কেন?

উত্তরঃ ‘চিত্রের পোতলি সমা’ পদ্মাবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাকে সুস্থ করে তুলতে চেয়েছিল। তাই বিধাতার কাছে সে এই প্রার্থনা করেছিল।

২৪. ‘পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।’ – কী ভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল?

উত্তরঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীদের সেবা এবং চিকিৎসায় পঞ্চকন্যা ‘চেতন’ ফিরে পেয়েছিল।

২৫. ‘শ্ৰীযুক্ত মাগন গুণী’- মাগন গুণীর পরিচয় দাও।

উত্তরঃ মাগন গুণী বা মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজ্যের প্রধান অমাত্য বা প্রধানমন্ত্রী।

২৬. ‘অনুমান করে নিজ চিতে।” – ‘বালা’ কী অনুমান করেছিল?

উত্তরঃ ‘বালা’ অর্থাৎ সমুদ্রকন্যা পদ্মা অনুমান করেছিল যে ভূপতিতা রমণী অর্থাৎ পদ্মাবতী হয়তো ইন্দ্রদেবের শাপের ফলে স্বর্গভ্রষ্টা কোনো ‘বিদ্যাধরি’।



সিন্ধুতীরে কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Sindhutire Short Type Question and Answer

প্রশ্নঃ পদ্মা কে? সে কীরূপ উদ্যান রচনা করেছিল?

উত্তরঃ পদ্মা : আলাগার রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত পদ্মাবতী কাব্যে সিন্ধুতীরে কবিতায় পদ্মা হলেন সমুদ্রের রাজার গুণবতী কন্যা।

উদ্যানের পরিচয় :সমুদ্রতীরে এক সুন্দর স্থানে যেখানে ফল ও ফুলের প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এক পর্বত রয়েছে, তার পাশে পদ্মা একটি সুন্দর উদ্যান রচনা করেছিল। নানাবিধ সুগন্ধি পুষ্প ও ফল এবং সুলক্ষণ যুক্ত বৃক্ষ তার শােভা বর্ধন করত। তার মধ্যে স্বর্ণখচিত প্রাসাদে পদ্মা বাস করতেন।


প্রশ্নঃ ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’–পকন্যা কিভাবে চেতন পেয়েছিল?

উত্তরঃ পঞ্চকন্যার চেতনাপ্রাপ্তি : সমুদ্রকন্যা পদ্মা প্রথমে বিধাতার কাছে পদ্মাবতীর জন্য প্রার্থনা করেন। তারপর তিনি উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার সখীদের দেহ কাপড়ে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান। তারপর তন্ত্রমন্ত্ৰ মহাঔষধের দ্বারা তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সেক দেওয়া হয়। এইভাবে চারদণ্ড চিকিৎসা করার পর চার সখীসহ পদ্মাবতী জ্ঞান ফিরে পায়।


প্রশ্নঃ ‘দেখিয়া রূপের কলা/বিস্মিত হইল বালা/অনুমান করে নিজ চিতে।’—কে নিজের চিত্তে কার রূপের কলা কখন অনুধাবন করেছিলেন?

উত্তরঃ পদ্মাবতীর অপরূপ রূপ: ব্রাত্মণরূপী সমুদ্রের বুদ্রতাপে সিংহল থেকে চিতরে ফেরার সময় রত্নাসেন ও প্রিয়দর্শিনী পত্নী পদ্মাবতী জীবন সংশয়ের মুখে পড়েন। পদ্মাবতী সিন্ধু তীরে অত্যন্ত বেদনাহত হয়ে সাহীন হয়ে পড়েন। সমুদ্র তীরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সমুদ্রকন্যা পদ্ম। তার অর্থাৎ পদ্মাবতীর রূপ লাবণ্য দেখে সমুদ্রকন্যা অবাক হয়ে যায়।



সিন্ধুতীরে কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - Sindhutire Descriptive Questions and Answers

প্রশ্নঃ সিন্ধুতীরে কবিতায় দিব্যস্থানটির পরিচয় দাও?

উত্তরঃ ভূমিকা: সৈয়দ আলাওলের পদ্মাবতী কবিতায় সমুদ্রকন্যা পদ্মা যেখানে থাকতেন সেই স্থানটি ছিল দিব্যস্থান। অনুপম বর্ণনায় সেই স্থানের পরিচয় দিয়েছেন কবি সৈয়দ আলাওল।

দিব্যস্থানের পরিচয়: পদ্মাবতী কাব্যে সৈয়দ আলাওল সিন্ধু তীরের বর্ণনায় ঐশ্বর্য বিলাসময় বাংলাদেশের দৃশ্যকে তুলে ধরেছেন, পদ্মা সমুদ্রকন্যা অনুসারে। সিন্ধু তীরে কবিতায় অচৈতন্য পদ্মাবতীর পড়ে থাকা অবস্থায় সেই স্থানটির অপরুপ বর্ণনা দিয়েছে। অতি মনােহর দেশ, সেখানে দুঃখ, কষ্ট কিছু নেই সর্বদা সত্য ধর্ম বিরাজমান। আহত এবং সঙ্গাহীন পদ্মাবতীকে যে স্থান থেকে সমুদ্রকন্যা। পরা উদ্ধার করে সেই স্থানে সমুদ্র মধ্যবর্তী অঞ্চলে এক দিব্য ক্রান্তি, সুন্দর। প্রাসাদের অবস্থান এবং এক পার্বত্য প্রদেশের কোলে সুন্দর উদ্যানের অবস্থিতি লক্ষ্য করা যায়- উপরে পর্বত এক ফল ফুলে অচিরেক তার পাশে রচিল উদ্যান।

এই স্থানটিকে দিব্যন রুপে কবি অঙ্কন করেছেন। কারণ উদ্যানটি নানা ফল, ফুল, বৃক্ষ ও লতাগুল্মে পরিপূর্ণ। এছাড়া সেই উদ্যানে সুগন্ধি মনােহর ফুল এবং সুলক্ষণ যুক্ত বৃক্ষ রয়েছে এবং বাগানের পাশে স্বর্ণখচিত এক সুন্দর প্রাসাদ রয়েছে। যেখানে সমুদ্রকন্যা সর্বদা অবস্থান করে। কবির কল্পনায় এটি দিব্যপুরী।

মূল্যায়ন: মধ্যযুগের কবি সৈয়দ আলাওল অপুর্ব বর্ণনায় এই বাগানের এবং প্রাসাদের পরিচয় দিয়েছেন যা কল্পনার অতীত। তাই কবির ভাষায় মনােহর রূপ ধারণ করেছে।


প্রশ্নঃ সমুদ্র তীরে কবিতায় পদ্মার চরিত্রটি আলােচনা করাে।

উত্তরঃ ভূমিকা: সিন্ধু তীরে কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার চরিত্রটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কবির বর্ণনায় পদ্মার নানান গুণ দেখতে পাওয়া যায়।

পদ্মা চরিত্রের পরিচয়: সমুদ্রের মাঝে এক দিব্যপুরী। যে দিব্যপুরীটি স্বর্গীয় বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল। সেখানেই বাস করেন সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা। একদিন ভােরবেলায় সখীসহ উদ্যানে পরিভ্রমণ করতে এসে তিনি সমুদ্রতীরে একটু ভেলা দেখে অবাক হন। এই ভেলায় ছিলেন শৃঙ্খল রাজকন্যা পদ্মাবতী এবং তার চার সখী। এরা সকলেই অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। এই দৃশ্য থেকে পদ্মা বিচলিত হয়ে ওঠেন। তারপর সখীদের নির্দশ দেন তাদের উদ্যানের মধ্যে নিয়ে আসতে। শুভমমী পদ্মা। অপরিচিত এই নারীদের বিপদাপন্য অবস্থা দেখে কষ্ট পান এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের সেবাযত্নের ব্যবস্থা করেন। এখানে পদ্মার যেনসিক্ত ও দরদি হৃদয়ের পরিচয়টি বড়াে হয়ে উঠেছে। রাজকন্যা হলেও পদ্মার মনে কোনাে অহংকার নেই। অসহায়কে সেবা করাই তার ধর্ম। অপরিচিত হলেও পদ্মাবতী ও তার সখীদের যেভাবে তিনি জ্ঞান ফিরিয়ে এনেছেন তাতে তার চরিত্রের মহৎ দিক ধরা পড়েছে। এমন মহানুভব মানব চরিত্র মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিরল।

মূল্যায়ন: প্রকৃতপক্ষে সমুদ্র কন্যার জন্য জীবন ফিরে পেয়েছে পদ্মাবতী ও তার চার সখী। তাই সমুদ্র সুতাপদ্মা মানবীক গুণে পরিপূর্ণ এক অসামান্য নারী, একথা আমরা বলতেই পারি।



সিন্ধুতীরে অতিরিক্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন

১) “পঞ্চকন্যা পাইল চেতন”- ‘পঞ্চকন্যা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? তারা কীভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল নিজের ভাষায় লেখো। ১+৪



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area