প্রলয়োল্লাস কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Praloyollas SAQ Question Answer

দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Praloyollas SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস SAQ প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। প্রলয়োল্লাস অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


প্রলয়োল্লাস কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Praloyollas SAQ Question Answer




প্রলয়োল্লাস - কাজী নজরুল ইসলাম

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্য থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



প্রলয়োল্লাস কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Praloyollas SAQ Question Answer

১. “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!”—কে, কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?

উত্তরঃ মুক্তিকামী কবি নজরুল ইসলাম সমগ্র স্বদেশবাসীকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২. “সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল।”—উদ্ধৃতাংশটিতে ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তরঃ কবি শব্দবন্ধটি দ্বারা দেশবাসীকে সমুদ্রপারের ইংরেজ রাজশক্তির রাজপ্রাসাদের অবরুদ্ধ দরজাকে নির্দেশ করতে চেয়েছেন।

৩. “বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর!”—উদ্ধৃতাংশটিতে কবি ‘ভয়ংকর অভিধায় কাকে নির্দেশ করতে চেয়েছেন?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে কবি অনাগত সুদিন তথা নতুন মহাকালের বেশে পুরাতনকে ধ্বংস করতে যেভাবে আসছে, তাকে ‘ভয়ংকর’অভিধায় অভিহিত করতে চেয়েছেন।

৪. “সর্বনাশী জ্বালামুখী ধূমকেতু তার চামর ঢুলায়!”—উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ধূমকেতু’ ও ‘চামর’ শব্দ দুটির অর্থ কী?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ধূমকেতু’ শব্দটি দিয়ে সৌরজগতের জ্যোতির্ময় পদার্থ বিশেষকে এবং ‘চামর’ শব্দটি দিয়ে চমরী গোরুর পুচ্ছ নির্মিত ব্যজন বা পাখাকে নির্দেশ করা হয়েছে।

৫. “দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়,”—উদ্ধৃতাংশটিতে যে দ্বাদশ রবির কথা বলা হয়েছে, তাদের নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ কবি উদ্ধৃতাংশে যে পুরাণ কথিত দ্বাদশ রবির কথা উল্লেখ করেছেন তারা হলেন—বিবস্বান, অৰ্যমা, পুষা, ত্বষ্টা, সবিদা, ভগ, ধাতা, বিধাতা, বরুণ, মিত্র, শত্রু, উরুক্রম নামধারী সূর্য।

৬. “দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু-চাদের কর”—উদ্ধৃতাংশে কোন্ দেবতার অস্তিত্ব কল্পনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে দিগম্বর অর্থাৎ দেবাদিদেব মহাদেবের অস্তিত্ব কল্পনা করা হয়েছে যার শিরচুড়ায় উদীয়মান চাঁদের কল্পনা করা হয়েছে।

৭. “ক্ষুরের দাপট তারায় লেগে উল্কা ছুটায় নীল খিলানে!”—উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত ‘উল্কা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে কবি ‘উল্কা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন মহাকালের যুদ্ধেদ্ধত স্বরূপের তীব্রতা বোঝানোর জন্য। বিজ্ঞানের ভাষায় উল্কা বলতে বোঝায় আকাশের বুকে ভ্রাম্যমাণ অগ্নিপিণ্ড যার মাঝেমধ্যে ভূপৃষ্ঠে পতন ঘটে।

৮. “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর ?” —ধ্বংস দেখেও তাকে ভয় না-করার কথা বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ কবি যে ধ্বংসের কথা বলেছেন, সেই মহাকালের ভয়ংকর ধ্বংসলীলার মধ্যেও নবসৃষ্টির বীজ নিহিত থাকে। সেইজন্যই কবি এই ধ্বংস দেখে তাকে ভয় না-করার কথা বলেছেন।

৯. “বধূরা প্রদীপ তুলে ধর।”—কীসের জন্য বন্ধুদের প্রদীপ তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ মহাকাল ভয়ংকর বেশে অ-সুন্দরকে ধ্বংস করে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করতে আসছে। তাই তার আগমনকে বরণ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুদের প্রদীপ তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে।

১০. “আসবে উষা অরুণ হেসে”—উষা কখন আসবে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ নামক কবিতায় তারুণ হেসে ঊষা আসবে মহানিশার শেষে তথা মহারাত্রির পর।

১১. দিগন্তরের কাঁদন কোথায় লুটায়?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় দিগন্তরের কাঁদন পিঙ্গল ত্রস্ত জটায় লুটায়।

১২. রক্তমাখা কৃপাণ কোথায় ঝোলে ?

উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস’নামক কবিতায় রক্তমাখা কৃপাণ বিশ্বপাতার বক্ষকোলে দোলে।

১৩. কালবৈশাখির ঝড় কীরূপে আসে?

উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস’কবিতায় কালবৈশাখির ঝড় মহাকালের চণ্ডরুপে আসে। ধোঁয়ায় ধূপের রূপেও আসে।

১৪. ‘হাঁকে ওই’- কী বলে হাঁক দেয়?

উত্তরঃ “জয় প্রলয়ংকর” বলে হাঁক দেয়।

১৫. ‘আসছে ভয়ংকর!’ – ভয়ংকর কীভাবে আসছে?

উত্তরঃ কবি বলেছেন, বজ্রশিখার মশাল জেলে আসছে ভয়ংকর।

১৬. ‘এবার মহানিশার শেষে’ উষা কীভাবে আসবে?

উত্তরঃ মহানিশা সমাপ্ত হলে ঊষা আসবে অরুণ হেসে।

১৭. ‘দিগম্বরের জটায়’ কী হাসে?

উত্তরঃ দিগম্বরের জটায় হাসে ‘শিশু-চাঁদের কর’ বা সদ্য উদিত চাঁদের কিরণ।

১৮. ‘রণিয়ে ওঠে’ – কোথায় কী রণিয়ে ওঠে?

উত্তরঃ বজ্ররূপ গানে এবং ঝড় তুফানে রণিয়ে ওঠে হ্রেষার কাঁদন।

১৯. ‘…সে চিরসুন্দর!’- কেন তাকে চিরসুন্দর বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সে ভাঙে আর গড়ে, তাই সে চিরসুন্দর।

২০. ‘…এবার ওই আসে সুন্দর!’ – কোন বেশে সুন্দর আসছেন?

উত্তরঃ কাল ভয়ংকরের বেশে সুন্দর আসছেন।

২১. ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি কীসের মধ্যে ‘নূতনের কেতন’ দেখেছেন?

উত্তরঃ ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি কালবৈশাখীর ঝড়ের মধ্যে ‘নূতনের কেতন’ দেখেছেন

২২. ‘স্তব্ধ চরাচর’- চরাচর স্তব্ধ কেন?

উত্তরঃ প্রলয়নেশার নৃত্য-পাগল ‘ভয়ঙ্কর’-এর ‘অট্টরোলের হট্টগোলে’ চরাচর স্তব্ধ হয়েছিল।

২৩. ‘আসছে নবীন’ – কী করতে আসছে?

উত্তরঃ জীবনহীন অসুন্দরকে চিরতরে ছেদ করতে আসছে নবীন।



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area