নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha Short Type Question and Answer

দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Nadir Bidroha Short Type Question and Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নদীর বিদ্রোহ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।

নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha Short Type Question and Answer




নদীর বিদ্রোহ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়


‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সরীসৃপ’ গল্প সংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha Short Type Question and Answer


প্রশ্নঃ “নদেরচাঁদ সব বোঝে।” — নদেরচাঁদ কী বোঝে?

উত্তরঃ “নদীর বিদ্রোহ” গল্পের নদেরচাঁদ জানত যে, নদীর প্রতি তার আকর্ষণ অনেকটা পাগলামির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত একজন পরিণত মানুষের এই পাগলামি বাকিদের যে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, তা নদেরচাঁদ বোঝে। 


প্রশ্নঃ “চিরদিন নদীকে সে ভালোবাসিয়াছে।” —কেন?

উত্তরঃ নদীমাতৃক বঙ্গদেশের সন্তান নদেরচাঁদের জন্ম নদীর ধারে, সেখানেই তার বড়ো হয়ে ওঠা। শৈশবে, দেশের ক্ষীণস্রোত নির্জীব নদীটি অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ের মতো তার মমতা পেয়েছিল। নদী তার প্রানধারা, প্রাত্যহিকতার অঙ্গ। এই আজন্ম সংযোগের কারনেই নদীকে সে ভালোবেসেছিল। 


প্রশ্নঃ মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী?

উত্তরঃ মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দোপাধ্যায়।

 

প্রশ্নঃ “সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল।” — ‘সে’ কেঁদে ফেলছিল কেন?

উত্তরঃ নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোত নির্জীব নদীটি একবার তাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। অনাবৃষ্টির ফলে সেই নদীর ক্ষীণ স্রোতধারা  প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ‘সে’ অর্থাৎ নদেরচাঁদ কেঁদে ফেলেছিল। 


প্রশ্নঃ “নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল” কেন?

উত্তরঃ অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদেরচাঁদ পাঁচ দিন নদীকে দেখতে যেতে পারেনি। পাঁচ দিন আগে বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদীতে নদেরচাঁদ আনন্দপূর্ণ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করেছিল  কিন্তু পাঁচ দিন পর সেই নদীর ক্ষিপ্ত, গাঢ়, ফেনোচ্ছাসিত ভয়ংকর রূপকে প্রথমবার দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। 


প্রশ্নঃ বর্ষণপুষ্ট নদীকে নদেরচাঁদের অপরিচিত বলে মনে হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ নদেরচাঁদ পাঁচ দিন আগে তার চার বছরের পরিচিত বর্ষার জলে পুষ্ঠ নদীতে দেখেছিল পরিপূর্ন আনন্দের প্রকাশ। কিন্তু পাঁচ দিনের অবিরাম বৃষ্টির পর নদীর গাঢ় ও পঙ্খিল জল ফুলে ফেঁপে উঠে যেন বিদ্রোহ করছে। পরিচিত সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোত নদীর এই রূপ নদেরচাঁদের অপরিচিত মনে হয়েছিল। 


প্রশ্নঃ কোথায় বসে নদেরচাঁদের প্রতিদিন নদীকে দেখে?

উত্তরঃ নদেরচাঁদ প্রতিদিন সেতুর মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্টে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে বসে নদীকে দেখে। 


প্রশ্নঃ পকেট থেকে কী বার করে নদেরচাঁদ স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল?

উত্তরঃ “নদীর বিদ্রোহ” গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ পকেট থেকে একটি পুরোনো চিঠি বার করে নদীর স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল। 


প্রশ্নঃ “এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।” —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা হলে ফেলতে লাগল?

উত্তরঃ নদেরচাঁদ তার বউকে লেখা পাঁচ পাতার একটি চিঠির এক-একটা করে পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে জলে ফেলতে শুরু করেছিল। 


প্রশ্নঃ “বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদের চাঁদের” —নদের চাঁদের কেন ভয় করতে লাগল?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশ বর্ষার জলে পুষ্ট বিদ্রোহিনী নদীকে দেখে নদের চাঁদের ভয় লাগার কথা বলা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে নদী আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। সে উপলব্ধি করে রোষে-ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর এত কাছে বসে থাকা উচিত হয়নি।


প্রশ্নঃ “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”—কে কীভাবে নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝতে পারল?

উত্তরঃ নদের চাঁদের অনুভব: পাঁচদিন টানা বৃষ্টির পর নদীর কাছে গিয়ে নদের চাঁদ দেখল নদীর পঙ্কিল জলস্রোত ফুলে ফেঁপে উদ্যম গতিতে ছুটে চলেছে। নদী যেন উন্মত্ত। নদীর জলস্রোত ব্রিজ ও বাঁধের কাছাকাছি এসেছে যে কোনাে মুহূর্তে ভেঙে দিতে চায় সব বাধাকে। নদের চাঁদের মনে হল নদী যেন মুক্তি পেতে চাইছে, ফিরে পেতে চাইছে তার স্বাভাবিক গতি। তাই তার এই ভয়াল বিদ্রোহ।


প্রশ্নঃ “নদীর ধারে তার জন্ম হইয়াছে”—কার কথা বলা হয়েছে? একথা বলার কারণ কী?

উত্তরঃ নদের চাঁদ; মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদের চাঁদের কথা বলা হয়েছে।

একথা বলা কারণ: নদী কেন্দ্রিক জীবনে যারা অভ্যস্ত তাদের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক বারােমাস। নদের চাদ নদীকে না দেখে থাকতে পারে না। সে নিজেও তা বােঝে, তবু নিজেকে সংযত করতে পারে না। নদীর প্রতি তার ভালােবাসার কারণ আছে। নদীর ধারে তার জন্ম হয়েছে। নদীর ধারেই সে শৈশব, বাল্য, কৈশাের। কাটিয়েছে। তাই নদীর প্রতি ভালােবাসা তার অদম্য।


প্রশ্নঃ “চিঠি পকেটেই ছিল”—কোন চিঠির কথা বলা হয়েছে? সেই চিঠির কী পরিণতি হয়েছিল?

উত্তরঃ নদের চাঁদের বিরহপূর্ণ চিঠি: নদের চাঁদ গ্রাম থেকে বহু দূরে কর্মক্ষেত্রে বাস করত গৃহে বসবাসরত পত্নীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ সবসময় হত না। তাই চিঠিই ছিল একমাত্র ভরসা। বিশেষত বর্ষা ঋতুর আবেগপূর্ণ আবহাওয়া নদের চাঁদকে বিরহে উতলা করে তুলেছিল। তাই পাঁচদিনের বর্ষণের সুরে সুর মিলিয়ে সে একটি বিরহপূর্ণ চিঠি লিখেছিল। এখানে সেই চিঠির কথা বলা হয়েছে। নদের চাদ। আবেগপ্রবণ চিঠিতে লিখেছিল, ভয়ংকরী নদীর সঙ্গে খেলা করার তাগিদে সেই চিঠি ছিড়ে ছিড়ে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিল।



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area