নদীর বিদ্রোহ গল্পের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha SAQ Question Answer

দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ গল্পের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Nadir Bidroha SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। নদীর বিদ্রোহ গল্পের SAQ প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।


নদীর বিদ্রোহ গল্পের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha SAQ Question Answer




নদীর বিদ্রোহ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়


‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সরীসৃপ’ গল্প সংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



নদীর বিদ্রোহ গল্পের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Nadir Bidroha SAQ Question Answer


১. ‘আমি চললাম হে!’ – নদেরচাঁদ কখন একথা বলেছিল?

উত্তরঃ চারটা পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রওনা করিয়ে দিয়ে নদেরচাঁদ একথা বলেছিল।

২. নদেরচাঁদ লাইন ধরে কত মাইল হেঁটেছিল?

উত্তরঃ নদেরচাঁদের লাইন ধরে এক মাইল হেঁটেছিল।

৩. কী না করলে নদেরচাঁদ আর বাঁচবে না?

উত্তরঃ ব্রিজের একপাশে চুপচাপ বসে কিছুক্ষণ নদীকে না দেখলে সে আর বাঁচবে না।

৪. ‘নদীর জন্য এমনভাবে পাগল হওয়া কি তার সাজে?’- এই প্রশ্ন কেন?

উত্তরঃ কারণ তার বয়স ত্রিশ বছর এবং সে একটা স্টেশনের স্টেশনমাস্টার।।

৫. নদীকে ভালােবাসার কী কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিয়েছিল?

উত্তরঃ নদীকে ভালােবাসার জন্য নদেরচাঁদের কৈফিয়ত ছিল এটাই যে, সে নদীর ধারে জন্মেছে, বড়ো হয়েছে এবং চিরকাল নদীকে সে ভালোবেসেছে।

৬. ‘সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল;’ – কী দেখে সে কেঁদেছিল?

উত্তরঃ নদেরচাঁদের দেশের বাড়িতে ক্ষীণস্রোতা নদীটি একবছর অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে গিয়েছিল বলে সে কেঁদেছিল।

৭. ‘নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।’ – কেন সে স্তম্ভিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ব্রিজের কাছে এসে প্রথমবার নদীর দিকে তাকাতেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়েছিল।

৮. ‘আজ যেন সেই নদী খেপিয়া গিয়াছে।’– নদীর এমন অবস্থার কারণ কী?

উত্তরঃ নদীর জলধারাকে বেঁধে রাখার উদ্দেশ্যে যে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল, তারই প্রতিবাদে নদী খেপে উঠেছিল।

৯. চেনা নদীকে নদেরচাঁদের আরও বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত মনে হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ নদীর পঙ্কিল জল ফুলে ফেঁপে উঠেছিল বলেই চেনা নদীকে নদেরচাঁদের অপরিচিত ও ভয়ংকর মনে হচ্ছিল।

১০. ‘আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল।– কোন্ স্থানে সে গিয়ে বসেছিল?

উত্তরঃ সে অর্থাৎ নদেরচাঁদ ব্রিজের মাঝামাঝি ইট-সুরকি আর সিমেন্টের গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে গিয়ে বসেছিল।

১১. ‘নদেরচাঁদের ভারী আমােদ বােধ হইতে লাগিল। – কী দেখে তার আমােদ হয়েছিল?

উত্তরঃ নদীর জল এতোটা উপরে উঠে এসেছিল যে হাত বাড়ালেই নাগাল পাওয়া যেত। সেটা দেখেই নদেরচাঁদের আমোদ হয়েছিল।

১২. ‘নদীর সঙ্গে খেলা করার লােভটা সে সামলাইতে পারিল না’ – কীভাবে সে নদীর সঙ্গে খেলা করেছিল?

উত্তরঃ নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে লেখা চিঠির এক-একটি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে জলে ফেলছিল। এইভাবে সে নদীর সঙ্গে খেলা করছিল।

১৩. ‘এই ভীষণ মধুর শব্দ শুনিতে শুনিতে সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হইয়া আসিতেছে।’ – কোন্ শব্দ শুনে শরীর অবশ ও অবসন্ন হয়েছিল?

উত্তরঃ নদীর জলের অশ্রুতপূর্ব শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মিশে যে সংগত তৈরি হয়েছিল সেই শব্দ শুনে নদেরচাঁদের শরীর অবশ ও অবসন্ন হয়েছিল।

১৪. ‘কিছুক্ষণের জন্য নদেরচাঁদকে দিশেহারা করিয়া রাখিল’- কিছুক্ষণের জন্য কী তাকে দিশেহারা করে রেখেছিল?

উত্তরঃ ব্রিজের উপর দিয়ে একটা ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দে হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গ হওয়ার মতো একটা বেদনাদায়ক চেতনা তাকে দিশেহারা করে রেখেছিল।

১৫. ‘নদী এমনভাবে খেপিয়া যাইতে পারে…’ – নদী খেপে গিয়েছিল কেন?

উত্তরঃ মানুষ নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করে নদীর জলস্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল। তাই নদী খেপে গিয়েছিল।

১৬. ‘কিন্তু পারিবে কি?’ – কী পারার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ব্রিজটা ভাসিয়ে এবং দুপাশে মানুষের তৈরি বাঁধ ভেঙে ফেলে নদীর নিজের গতিপথ করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৭. “মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?”- কেন এই উক্তি?

উত্তরঃ নদী যদি একবার মানুষের তৈরি ব্রিজ এবং বাঁধ ভেঙে ফেলে, তারপরও মানুষ আবার সেইসব নতুন করে গড়ে ফেলবে। তাই একথা বলা হয়েছে।

১৭. ‘আজ তার মনে হইল কী প্রয়ােজন ছিল ব্রিজের?’ – কেন এমন মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ ব্রিজ তৈরি করার ফলে নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল। তাই নদেরচাঁদের এমন মনে হয়েছিল।

১৮. নদেরচাঁদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল?

উত্তরঃ নদেরচাঁদ রেললাইন ধরে অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছিল। এমন সময় পিছন থেকে সাত নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়।

১৯. ‘এক একখানা পাতা ছিড়িয়া দুমড়াইয়া মােচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।’ – উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল?

উত্তরঃ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে লেখা পাঁচপাতার চিঠি থেকে এক-একটা পাতা জলে ফেলতে লাগল।

২০. নদেরচাঁদ কতদিন যাবৎ স্টেশন মাস্টারের চাকরি করছিল?

উত্তরঃ চার বছর ধরে নদেরচাঁদ স্টেশন মাস্টারের চাকরি করছিল।



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area