দশম শ্রেনীর অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Astrer Biruddhe Gaan Descriptive Questions and Answers PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান - জয় গোস্বামী
‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর ‘পাতার পোশাক’ কবিতা সংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - Astrer Biruddhe Gaan Descriptive Questions and Answers
1. অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখ ? অথবা, যুদ্ধবিরােধী কবিতা হিসাবে অন্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার বক্তব্য লেখাে?
উত্তরঃ মূল বক্তব্য: জয় গােস্বামী অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় অশ্ব শক্তি এবং পেশি শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের সুস্থ রুচি ও নান্দনিকতার প্রতিরােধ গড়ে তােলার কথা বলেছেন। গানকে অবলম্বন করে কবি যে অমিত শক্তির অধিকারী হয়েছে যা। তাকে হাত বাড়িয়ে বুলেট প্রতিহত করার প্রভাস দিয়েছেন। গান তাকে এক আশ্চর্য ঐক্যবােধে বেঁধেছে। তাই তার হাতে হাত মিলিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পায়ে পা মিলিয়েছে সহস্র পা। দীপ্ত ভঙ্গিতে কবি বলতে পেরেছেন—“অস্ত্র ফ্যালাে অস্ত্র রাখাে পায়ে।” পৃথিবীর ইতিহাসের অস্ত্র কখন শেষ কথা বলেনি। জয়ী হয়েছে মানুষের শুভ বুদ্ধি, একতা এসবের প্রতীক। গান কবিকে মানুষের সঙ্গে মিলিয়েছেন। রক্ত মুছিয়ে সুন্দরের মুখােমুখি দাঁড় করিয়েছে। চারপাশে। হিংসা এবং রাজ্যের মধ্যে গান সুন্দরের আরাধনা করে। গানের নানা রূপ বিষয়ে তার সুরের নানা বৈচিত্র্য কখনও সে হয়ে ওঠে ঋষিবালকের মতাে নিস্পাপ, কখনাে তার স্পর্শ লেগে থাকে কোকিলের মােহময় সুরেলা সৃষ্টি। যুদ্ধরাজ মানুষ অস্ত্র হাতে মনুষ্যত্বের বিপক্ষে গিয়ে যখন দাঁড়ায়, তখন কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই গানই মানুষের হাত ধরে থাকে। তাকিয়ে থাকে অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা, শক্তি এবং সাহস। সেই গানের বর্ম পরে কবি অস্ত্র প্রতিহত করেন অবহেলায়, আর অন্যদেরকেও নিয়ে যেতে চান সেই গানের কাছাকাছি
“তােমায় নিয়ে বেড়াব গান
নদীতে, দেশ গাঁয়ে।”
2. “আমি এখন হাজার হাতে পায়ে এগিয়ে আসে, উঠে দাঁড়ায়”—-হাজার হাতে পায়ে এগিয়ে আসার তাৎপর্য কী? কবির কোন মনােভাব এখানে ধরা পড়েছে?
উত্তরঃ তাৎপর্য: ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জয় গােস্বামী অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই-এর জন্য সংগীতের ক্ষমতার কথা বলেছেন। রাষ্ট্র কিংবা কোনাে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী শক্তি মানুষের বিক্ষোভে, প্রতিবাদে গান হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন। কবির কথায় গান শুধু আনন্দের উৎস নয়, লড়াই-এ সংগ্রামেও কবি দেখেছেন, তিনি একা নন সহস্র মানুষ তার সহযাত্রী হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কিংবা পৃথিবীর বিভিন্ন গণমুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে প্রমাণ করে যে, যুগে যুগে মানুষের প্রতিবাদের অস্ত্র হয়েছে গান। মিলিত কণ্ঠে গান হয়ে উঠেছে মানুষের বাঁচার সুর।
কবির মনােভাব :কবি জয় গােস্বামী গানকে আগলে ধরে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে রাখতে চান। জীবন সংগ্রামে স্বাধীনতার লড়াই-এ অস্ত্র নয় গানকে অবলম্বন করে সবকিছু প্রতিহত করতে চান। কবি মনে করেন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির লেলিহান শিখা পৃথিবীর বুকে ভয়ালরূপে সৃষ্টি করলেও গান পারে মানুষকে বাঁচার ভরসা দিতে। চিল শকুন যেমন ধ্বংসের বার্তা বয়ে আনে। তেমনই বসন্তের কোকিল শান্তির মধুর গান শুনিয়ে পৃথিবীকে নতুন করে বাঁচিয়ে তােলে। ঋষিবালকের শান্তি সৌম্য নির্মলরূপ মানুষকে মুগ্ধ করে। তাই ঋষি বালককে সঙ্গে নিয়ে পল্লীবাংলা থেকে অন্য দেশের পথে গান নিয়ে বেড়াতে চান।
Google News এ আমাদের ফলো করুন
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box