দশম শ্রেনীর আফ্রিকা কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Practice Set PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর আফ্রিকা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। আফ্রিকা কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
আফ্রিকা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘আফ্রিকা’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পত্রপুট’ কাব্য থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
আফ্রিকা কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - Africa Descriptive Questions and Answers
1. “চিরচিহ্ন দিয়ে গেল। তােমার অপমানিত ইতিহাসে।”– ‘তােমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার ‘অপমানিত ইতিহাসের’ সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ১+৪ [মাধ্যমিক ২০১৯]
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘তোমার’ বলতে আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে।
গভীর অরণ্য বেষ্টিত হওয়ায় আফ্রিকা একসময় সভ্য জগতের কাছে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বিশ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলি আফ্রিকার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের কথা জানতে পারে। এরপরেই আফ্রিকা সাম্রাজ্যবাদীদের কু’নজরে পড়েছিল।
বাইরের জগতের কাছে ইউরোপীয়রা সভ্য এবং শিক্ষিত বলেই পরিচিত। কিন্তু আফ্রিকায় এসেই তারা সভ্যতার মুখোশ খুলে ফেলল। তারা দেখিয়ে দিল যে তারা কতটা লোভী, কতটা বর্বর। আফ্রিকার অরণ্যে যে নেকড়ে থাকে তার থেকেও তীক্ষ্ণ নখবিশিষ্ট সাম্রাজ্যবাদীর দল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আফ্রিকার উপর। দুহাত দিয়ে আফ্রিকার সম্পদ লুঠ করার পাশাপাশি তারা আফ্রিকার সহজসরল মানুষদেরকে অকথ্য অত্যাচার করতে লাগল। তাদের রক্তে এবং চোখের জলে আফ্রিকার মাটি কর্দমাক্ত হয়ে উঠল।
আফ্রিকায় আগত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে কবি বলেছেন “মানুষ ধরার দল”। সভ্যতার গর্বে অন্ধ হয়ে তারা ভুলে গেল সাধারণ মনুষ্যত্বের কথা। তারা ‘লোহার হাতকড়ি নিয়ে’ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বন্দি বানিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে ইউরোপে চালান করতে লাগল। এইভাবে সাম্রাজ্যবাদীরা আফ্রিকা এবং তার সন্তানদের উপর অত্যাচার করে আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত করেছিল।
2. “এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে”- ওরা কারা? ওরা আফ্রিকাতে কী কী করেছিল তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ১+৪
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘ওরা’ বলতে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের বোঝানো হয়েছে।
গভীর অরণ্য বেষ্টিত হওয়ায় আফ্রিকা একসময় সভ্য জগতের কাছে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বিশ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলি আফ্রিকার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের কথা জানতে পারে। এরপরেই আফ্রিকা সাম্রাজ্যবাদীদের কু’নজরে পড়েছিল।
বাইরের জগতের কাছে ইউরোপীয়রা সভ্য এবং শিক্ষিত বলেই পরিচিত। কিন্তু আফ্রিকায় এসেই তারা সভ্যতার মুখোশ খুলে ফেলল। তারা দেখিয়ে দিল যে তারা কতটা লোভী, কতটা বর্বর। আফ্রিকার অরণ্যে যে নেকড়ে থাকে তার থেকেও তীক্ষ্ণ নখবিশিষ্ট সাম্রাজ্যবাদীর দল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আফ্রিকার উপর। দুহাত দিয়ে আফ্রিকার সম্পদ লুঠ করার পাশাপাশি তারা আফ্রিকার সহজসরল মানুষদেরকে অকথ্য অত্যাচার করতে লাগল। তাদের রক্তে এবং চোখের জলে আফ্রিকার মাটি কর্দমাক্ত হয়ে উঠল।
আফ্রিকায় আগত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে কবি বলেছেন “মানুষ ধরার দল”। সভ্যতার গর্বে অন্ধ হয়ে তারা ভুলে গেল সাধারণ মনুষ্যত্বের কথা। তারা ‘লোহার হাতকড়ি নিয়ে’ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বন্দি বানিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে ইউরোপে চালান করতে লাগল। এইভাবে সাম্রাজ্যবাদীরা আফ্রিকা এবং তার সন্তানদের উপর অত্যাচার করে আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত করেছিল।
3. “হায় ছায়াবৃতা” – ‘ছায়াবৃতা’ বলার কারণ কী? তার সম্পর্কে কবি কী বলেছেন সংক্ষেপে লেখাে। ১+৪ [মাধ্যমিক ২০১৭]
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে। আফ্রিকার বুকে গভীর অরণ্য থাকায় সেখানে সূর্যের আলোও প্রবেশ করতে পারে না। সবসময় ছায়াচ্ছন্ন থাকে বলে কবি আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলেছেন।
আলোচ্য কবিতায় কবি আফ্রিকার জন্মলগ্ন থেকে ঔপনিবেশিক শাসনকাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে তুলে ধরেছেন।
সৃষ্টির আদি লগ্নে রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং তাকে স্থাপন করেছিল বনস্পতির নিবিড় পাহারায়, যেখানে আলোও প্রবেশ করে না। সেই নিরালায় বসে আফ্রিকা নিজেকে দুর্গম করে তুলছিল এবং প্রকৃতির সঙ্গে আত্মস্থ হয়ে জল, স্থল, আকাশের দুর্বোধ্য সংকেতগুলি আয়ত্ত করছিল। নিজেকে উগ্ররূপে সাজিয়ে সে ভয়ংকরকে বিদ্রূপ করেছিল এবং ভয়কেও হার মানিয়েছিল। এভাবে বহুকাল আফ্রিকা সভ্য জগতের কাছে অপরিচিত ছিল।
তারপর সেখানে এল সভ্যতার গর্বে অন্ধ ইউরোপীয় দুর্বৃত্তরা। কবির ভাষায় ‘মানুষ ধরার দল’। আফ্রিকার নেকড়ের চেয়েও তীক্ষ্ণ নখ নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আফ্রিকার উপর। সম্পদ লুঠ করার পাশাপাশি তারা আফ্রিকার সহজ সরল মানুষগুলোকে ক্রীতদাস বানিয়ে ইউরোপে পাচার করেছিল। এইভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছিল।
Google News এ আমাদের ফলো করুন
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box