দশম শ্রেনীর অভিষেক কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় Abhishek SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেনীর অভিষেক SAQ প্রশ্নোত্তর PDF. নিচে দশম শ্রেনীর অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। অভিষেক অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।
অভিষেক - মাইকেল মধুসূদন দত্ত
‘অভিষেক’ কবিতাটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্য থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
অভিষেক কবিতার SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Abhishek SAQ Question Answer
1. ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের প্রথম সর্গের নাম কী?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্যের প্রথম সর্গের নাম ‘অভিষেক’।
2. “প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে,/কহিলা”—ইন্দ্রজিৎ কী বলেছিল?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেছিল এবং সেখানে ধাত্রীর আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিল।
3. “ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা উত্তরিলা।” “অম্বুরাশি-সুতা’-কে এবং কেন তার এমন নাম?
উত্তরঃ ‘অম্বুরাশি’ শব্দের অর্থ জলসমূহ, ‘সুতা’ শব্দের অর্থ কন্যা। সমুদ্রমন্থনের সময় লক্ষ্মীর উত্থান হয়েছিল বলে তাকে ‘অম্বুরাশি-সুতা’ বলা হয়েছে।
4. “ছদ্মবেশী অম্বুরাশি সুতা”—অম্বুরাশি-সুতা কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। অম্বুরাশি-সুতা বা লক্ষ্মী ইন্দ্রজিতের ধাত্রীমাতা প্রভাষার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।
5. “সসৈন্যে সাজেন আজি যুঝিতে আপনি।”-কে সসৈন্যে সাজেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙকিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত প্রিয় পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কেশ্বর রাবণ সৈন্যদলসহ যুদ্ধসাজে সজ্জিত হন।
6. “জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া;”—এই বিস্ময়ের কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ রামচন্দ্রকে খন্ড খন্ড করে কেটে ফেলার পরে কে বীরবাহুকে হত্যা করল তা ভেবেই ইন্দ্রজিৎ বিস্মিত হয়েছেন ?
7. ছদ্মবেশী লক্ষ্মী কোন সংবাদ নিয়ে এসেছিলেন?
উত্তরঃ ছদ্মবেশী লক্ষ্মী রাবণপুত্র বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং তাতে রাবণের শোকাকুলতার সংবাদ নিয়ে এসেছিলেন।
8. “এ অদ্ভুত বারতা”—কোন বারতার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। এখানে বীরচূড়ামণি বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদের কথাই বলা হয়েছে।
9. “শীঘ্ৰ কহ দাসে” শীঘ্র কী বলতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ছদ্মবেশী লক্ষ্মী বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ দিতে এসেছেন মেঘনাদকে লক্ষ্মী কোথায় সেই মৃত্যুসংবাদ পেলেন তা শীঘ্ন বলতে বলা হয়েছে।
10. “রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী উত্তরিলা”—‘ইন্দিরা সুন্দরী কে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। লক্ষ্মীর অপর নাম ইন্দিরা। তাই এখানে। লক্ষ্মীকেই ইন্দিরা সুন্দরী বলা হয়েছে।
11. “যাও তুমি ত্বরা করি:”—এই শীঘ্র যাওয়ার প্রয়োজন কী?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটিতে রাক্ষসকুলের মান রক্ষা করার জন্যই মেঘনাদের শীঘ্ন যাওয়ার প্রয়োজন বলে লক্ষ্মী মন্তব্য করেছেন।
12. “…রোষে মহাবলী/মেঘনাদ”—মেঘনাদ রুষ্ট হয়ে কী করেছিলেন?
উত্তরঃ মেঘনাদ রুষ্ট হয়ে ফুলরাশি ছিড়ে ফেলেছিল, সোনার বালা দূরে ফেলে দিয়েছিল।
13. “পদতলে পড়ি, শোভিল কুণ্ডল।” ‘কুণ্ডল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীতাকুণ্ডল’ শব্দের অর্থ কর্ণভূষণ অর্থাৎ কানের অলংকার।
14. “হা ধিক মোরে!”—ইন্দ্রজিৎ কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলো?
উত্তরঃ শত্রুসৈন্য যখন লঙ্কাকে ঘিরে ফেলেছে তখন তিনি প্রসোদকাননে সময় কাটাচ্ছেন—এই ভেবেই ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল।
15. “বৈরিদল বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা”—কাদের বৈরিদ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পর্ভূক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত এখানে রামচন্দ্র ও তার সৈন্যবাহিনীকে বৈরিল বলা হয়েছে।
16. “হেথা আমি বামাদল মাঝে?”—কখন ইন্দ্রজিৎ একথা বলেছেন?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ইন্দ্রজিৎ একথা বলেছেন যখন রাঘব সৈন্যরা চারপাশ থেকে লঙ্কাপুরীকে ঘিরে ফেলেছে
17. “হেথা আমি বামিদলমাঝে।” – ‘হেথা’ বলতে কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত৷ ‘হেথা’ বলতে এখানে কনকলঙ্কার প্রমোদ উদ্যানকেই বোঝানো হয়েছে।
18. “এই কি সাজে আমারে”—কী সাজে না বলে বক্তার মনে হয়েছে?
উত্তরঃ রামচন্দ্রের সৈন্যবাহিনী কনকলঙ্কাকে ঘিরে ফেলেছে; এই সময় ইন্দ্রজিতের প্রমোদকাননে বিচরণ করা সাজে না।
19. “হৈমবতীসত যথা…” কীসের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে দেবসেনাপতি কার্তিকের তারকা বধের কথা এখানে বলা হয়েছে।
20. “কিম্বা যথা বৃহন্নলারুপী কিরীটী”—‘বৃহন্নলারুপী কিরীটী’ কাকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ভূত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। মহাভারতের অর্জুন চরিত্রটি হলেন বৃহন্নলারূপী কিরীটী।
21. ‘ছদ্দবেশী অম্বুরাশি-সুতা’- ‘অম্বুরাশি-সুতা’ কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল?
উত্তরঃ ‘অম্বুরাশি-সুতা’ অর্থাৎ দেবী লক্ষী মেঘনাদের ধাত্রী প্রভাষা রাক্ষসীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল।
22. ‘কহ দাসে লঙ্কার কুশল।’- উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বক্তাকে লঙ্কার কোন খবর দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ ছদ্দবেশী লক্ষীদেবী বক্তা মেঘনাদকে লঙ্কার যে খবর দিয়েছিলেন তা হল, ঘোরতর যুদ্ধে বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে।
23. ‘এ অদ্ভুত বারতা, জননী/কোথায় পাইলে তুমি,’ – কোন্ অদ্ভুত বার্তার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ অদ্ভুত বার্তাটি হল, ঘোরতর যুদ্ধে মেঘনাদের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে।
24. ‘হা ধিক্ মােরে’ – বক্তা নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে কেন?
উত্তরঃ বক্তা অর্থাৎ মেঘনাদ নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে কারণ শত্রুর দল তার জন্মভূমি অর্থাৎ লঙ্কা ঘিরে ফেলেছে, অথচ সে তখন ‘বামাদল মাঝে’ আমোদ-প্রমোদে ব্যস্ত।
25. ‘এই কি সাজে আমারে’ – তাকে কী সাজে না?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশের বক্তা মেঘনাদের মতে, স্বদেশ যখন বিপন্ন তখন নারীসান্নিধ্যে অবসর যাপন করা তাকে সাজে না।
26. ‘মায়াবী মানব/সীতাপতি’ – সীতাপতিকে ‘মায়াবী মানব’ কেন বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সীতাপতি রামচন্দ্র মরে গিয়েও পুনরায় বেঁচে উঠেছিল বলে তাকে ‘মায়াবী মানব’ বলা হয়েছে।
27. ‘ধরি পতি-কর-যুগ’ – পতির কর-যুগল ধরে কী বলেছিল?
উত্তরঃ পতির কর-যুগল ধরে প্রমীলা বলেছিল যে, তাকে রেখে তার প্রাণসখা কোথায় চলে যাচ্ছেন।
28. ‘বিদায় এবে দেহ, বিধুমুখী।’ – কেন এই অনুনয়?
উত্তরঃ মেঘনাদ রাঘবকে বধ করার জন্য লঙ্কায় ফিরে যাচ্ছিল। সেইজন্য তার প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলার কাছে অনুনয়সহ বিদায় চেয়েছিল।
29. ‘কাঁপিলা লঙ্কা, কাঁপিলা জলধি।’ – কী কারণে লঙ্কাপুরী ও জলধি কেঁপেছিল?
উত্তরঃ মেঘনাদ রাগে তার ধনুকের শিঞ্জিনী টেনে যে ‘টংকার’ (টং ধ্বনি) ছেড়েছিল, তার ফলেই লঙ্কা এবং সমুদ্র কেঁপে উঠেছিল।
30. ‘এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!’ – কোন্ মায়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ রামচন্দ্র মরে গিয়েও আবার বেঁচে উঠেছিল। আলোচ্য অংশে এই মায়ার কথা বলা হয়েছে।
31. ‘হায়, বিধি বাম মম প্রতি।’ – কেন এই উক্তি?
উত্তরঃ মহাপরাক্রমী রাবণকে সামান্য বনচারী রামের কাছে কার্যত হার স্বীকার করতে হয়েছে। এইজন্য বক্তা অর্থাৎ রাবণের মনে হয়েছে যে বিধাতা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
32. ‘এ কলঙ্ক, পিতঃ, ঘুষিবে জগতে।’ – কোন্ কলঙ্কের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ পুত্র মেঘনাদের বর্তমানে পিতা রাবণ যুদ্ধ করতে গেছেন- এটা মেঘনাদের কাছে কলঙ্কের মতো।
33. ‘তায় আমি জাগানু অকালে’- এর ফল কী হয়েছিল?
উত্তরঃ যাকে অকালে জাগানো হয়েছিল সেই কুম্ভকর্ণ বলী রাঘবের হাতে পরাস্ত ও নিহত হয়েছে এবং তার দেহ সমুদ্রতীরে ভূপতিত রয়েছে।
34. ‘আগে পূজ ইষ্টদেবে’ – কেন ইষ্টদেবকে আগে পূজা করতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ যুদ্ধযাত্রার আগে ইষ্টদেবের আশীর্বাদ নিতে হয়। সেইজন্য ইষ্টদেবকে আগে পূজা করতে বলা হয়েছে।
35. ‘অভিষেক করিলা কুমারে।’ – কুমারকে কী দিয়ে অভিষিক্ত করা হয়েছিল?
উত্তরঃ বিধি অনুসারে গঙ্গাজল দিয়ে কুমারকে অর্থাৎ মেঘনাদকে অভিষিক্ত করা হয়েছিল।
Google News এ আমাদের ফলো করুন
ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
Please do not share any spam link in the comment box