আকাশে মেঘ ওড়ে কেন ইত্যাদি অজানা তথ্য - Why Clouds Fly In The Sky Unknown Information

আকাশে মেঘ ওড়ে কেন ইত্যাদি অজানা তথ্য - Why Clouds Fly In The Sky Unknown Information

আকাশে মেঘ ওড়ে কেন ইত্যাদি অজানা তথ্য - Why Clouds Fly In The Sky Unknown Information


আকাশে মেঘ ওড়ে কেন ইত্যাদি অজানা তথ্য - Why Clouds Fly In The Sky Unknown Information



❏ আমরা কোন শব্দ শুনতে পাই কেন ?


➨ কোন কিছুর শব্দ হলে বাতাসে ভেসে সেই শব্দ তরঙ্গ আমাদের কানের পর্দায় আঘাত করে। এই ভাবেই আমরা শব্দ শুনতে পাই। লঘু মাধ্যমের বদলে ঘন মাধ্যমে শব্দ আর জোরালাে শােনা যায়। শ্রবণের অনুভূতির যে স্নায়ু থাকে নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কের অনুভূতি কেন্দ্রে তা সঞ্চারিত হয় আর তখনই আমরা শুনতে পাই।


❏ বিদ্যুৎ চমকানাের পর মেঘের ডাক শােনা যায় কেন ?


➨ আলাের গতি শব্দের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় শব্দ আমাদের কানে পৌঁছনাের ঢের আগেই বিদ্যুতের আলাে আমাদের চোখে পড়ে। এই কারণেই আমরা আলাে দেখার পর শব্দ শুনতে পাই।


❏ আকাশে মেঘ ওড়ে কেন ?


➨ মেঘ অত্যন্ত হালকা তাই হাওয়ায় ভেসে চলে। হাওয়ার বেগ যেদিকে থাকে মেঘও সেই দিকে ওড়ে। গ্রীষ্মকালে বাতাস দক্ষিণ থেকে বয়ে যায় বলে মেঘকে উত্তরে ভেসে যেতে দেখা যায় আর শীতকালে উত্তর থেকে বাতাস বয় বলে মেঘ দক্ষিণে উড়ে যায়।


❏ মেঘ ডাকে কেন ?


➨ মেঘে মেঘে ঘর্ষণ জনিত কারণেই শব্দ জেগে ওঠে। একেই মেঘ ডাকা বলে। মেঘের ডাক বা গর্জন বর্ষাকালেই বেশি হতে থাকে।


❏ বিদ্যুৎ চমকায় কেন ?


➨ মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে বিদ্যুৎ চমকায়। এর কারণ মেঘের মধ্যে জলকণায় তড়িৎ থাকে। তড়িতের দুটি বিপরীত শক্তি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশ পরস্পরের সংস্পর্শে আসার ফলে আলাে জ্বলে ওঠে অর্থাৎ বিদ্যুৎ চমকায়।


❏ বরফ জলে ভাসে কেন ?


➨ জলের আয়তনের তুলনায় বরফের আয়তন ও আপেক্ষিক, গুরুত্ব কম হওয়ায় বরফ জলে ভাসে। এই কারণে বিরাট বরফ খণ্ড সমুদ্রের বুকে ভাসতে পারে। যেমন হিমশৈল।


❏ স্পিরিট গায়ে লাগলে ঠাণ্ডা লাগে কেন ?


➨ স্পিরিট শরীরের ত্বক থেকে তাপকে বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে সাহায্য করে, এর ফলে ঠাণ্ডা বােধ হয়। ত্বকের সংস্পর্শে আসার পরেই এটা ঘটতে থাকে। স্পিরিট উদ্বায়ী পদার্থ তাই এ কাজটি দ্রুত ঘটতে চায়।


❏ পচা ডিম জলে ভাসে কেন ?


➨ ডিম পচে গেলে তার ভিতরের পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। ওই গ্যাস ডিমের খােলার সূক্ষ্ম ছিদ্র পথে বেরিয়ে যাওয়ায় ভিতরের অংশ শূন্য হয়ে পড়ে এবং এই কারণেই হালকা হয়ে যাওয়ায় পচা ডিম জলে ভাসে। এই গ্যাস থেকে একটা গন্ধ বের হয় যার নাম হাইড্রোজেন সালফাইড।


❏ তারা খসে পড়ে কেন ?


➨ মাঝে মাঝে রাতের আকাশের দিকে তাকালে ঝকমকে তারা খসে পড়তে বা ছুটে যেতে দেখা যায়। ব্যাপারটা কিন্তু তারা খসে পড়া মােটেই নয়, এগুলাে হল উল্কা। জ্বলন্ত উল্কাই এই ভাবে ছিটকে পড়ে আর অনেক সময়েই পৃথিবীতে পড়ার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


❏ প্রাগৈতিহাসিক, ডাইনােসররা লুপ্ত হল কেন ?


➨ প্রাগৈতিহাসিক ডাইনােসর জাতীয় প্রাণীদের লুপ্ত হওয়ার কারণের নানা ব্যাখ্যা আছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, খাদ্যাভাব ইত্যাদি এর কারণ হওয়া সম্ভব। বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে গ্রহণযােগ্য মত হল আবহাওয়া শীতল হয়ে পড়ায় ঠাণ্ডা রক্তের ডাইনােসররা এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় তারা লুপ্ত হয়ে যায়।


❏ সাপ খােলস ছাড়ে কেন ?


➨ সাপের দেহ বৃদ্ধি হয়ে চললে খােলস বদল বা ত্যাগ করার প্রয়ােজন দেখা দেয়। সারা জীবন ধরেই এটি ঘটে। ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাপকে খােলস ত্যাগ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে দেহে নতুন খােলস গড়ে ওঠে।


❏ অলিম্পিক পতাকায় পাঁচটি গােলাকৃতি রিং থাকে কেন ?


➨ অলিম্পিকের পতাকায় প্রতীক চিহ্ন হিসেবে যে পাঁচটি পরস্পর ধরে রাখা গােলাকার রিং থাকে সেগুলি এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরােপ পাঁচটি মহাদেশের প্রতীক।


❏ পিঁপড়ে বা বােলতা কামড়ালে জ্বালা করে কেন ?


➨ পিঁপড়ে বা বােলতা কামড়ালে জ্বালা করে কারণ পিঁপড়ে বা বােলতার লালায় এক ধরনের অ্যাসিড থাকে বলে। এই অ্যাসিড ত্বকের সংস্পর্শে এসে প্রতিক্রিয়া ঘটায় তাই জ্বালা করে। এই অ্যাসিড হল ফরমিক অ্যাসিড। এটি একটি জৈব অ্যাসিড।


❏ রুপাের জিনিস ব্যবহার করলে কালাে হয় কেন ?


➨ রুপাে গন্ধকের স্পর্শে কালাে হয়ে যায়। বাতাসে গন্ধক থাকে, মানুষের দেহের ঘামেও গন্ধক থাকে। এই জন্য রুপাে বাইরে থাকলে কালাে হয়ে যায়।


❏ লােহায় মরিচা ধরে কেন ?


➨ বাতাসের জলীয় বাষ্প লােহার সংস্পর্শে আসার পর লােহা অক্সাইডে পরিণত হয়। এই লােহার অক্সাইডই মরিচা। জলীয় বাষ্পের অক্সিজেনের সঙ্গে লােহার রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফেরিক অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এর রঙ বাদামী লাল।


❏ চুল বা নখ কাটলে ব্যথা লাগে না কেন ?


➨ চুল বা নখের মধ্যে কোন স্নায়ু নেই। তাই এগুলাে কাটলে কোন স্পর্শ জাগে না বা ব্যথাও লাগে না।


❏ আলেয়া দেখা যায় কেন ?


➨ পচা জল থাকে এমন জলাশয় বা পুকুর ইত্যাদির পচা জল থেকে মার্স গ্যাস ' নামে এক ধরনের দাহ্য গ্যাস বেরিয়ে আসার পর বাতাসের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে। একেই আলেয়া বলে। মার্স গ্যাসের অন্য নাম মিথেন। এছাড়াও থাকে ফসফরাস জাতীয় পদার্থ। মিথেন ও ফসফরাস মিলিতভাবে জ্বলে ওঠে।


❏ রক্তের রঙ লাল হয় কেন ?


➨ রক্তের রঙ লাল হয় রক্তে হিমােগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির জন্য হিমােগ্লোবিনই অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রক্তের রঙ লাল করে।


❏ জোয়ার ভাটা হয় কেন ?


➨ নদী বা সমুদ্রে জোয়ার ভাটা হয় চাদের আকর্ষণ জনিত কারণে। জোরালাে জোয়ারকে বলে ভরা কোটাল ও অল্প জোয়ারকে মরা কোটাল। পূর্ণিমায় জোরালাে জোয়ার হয়।


❏ গরমের দিনে কুকুর জিভ বের করে হাঁফায় কেন ?


➨ কুকুরের শরীরে ঘাম হয় না, তাই গ্রীষ্মকালে কুকুরের জিভ থেকে জল বাষ্পীভূত হওয়ায় জিভ থেকেই তারা প্রয়ােজনায় লীন তাপ নেয়। তাতে জিভে আরাম হয়। এই কারণেই গরমের দিনে তারা জিভ বের করে হাঁফায়।


❏ জোনাকি পােকা আলাে জ্বালে কেন ?


➨ জোনাকি পােকার দেহে লুসিফেরিন নামে ধরনের পদার্থ থাকে। এই পদার্থ থেকে আলাে নির্গত হয়। এই আলােয় তাপ থাকে না। বাতাসের স্পর্শ লাগলেই লুসিফেরিন জ্বলে ওঠে।


❏ পৃথিবীর সব দেশে ক্রিকেট খেলা হয় না কেন ?


➨ ক্রিকেট খেলার প্রচলন করে ইংরেজরা। তাই যে সব দেশে তাদের উপনিবেশ ছিল সেখানেই তারা ক্রিকেট খেলার প্রচলন করে, অন্য কোন দেশে খেলা হয় না। ক্রিকেট তাই খেলা হয় ইংল্যান্ড ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। বর্তমানে আরও কিছু দেশ ক্রিকেট খেলছে।


❏ দুটি রেল লাইনের জোড়ের মাঝখানে ফাঁক থাকে কেন ?


➨ লাইনের উপর ট্রেন যাওয়ার ফলে চাকার ঘর্ষণে লােহায় তৈরি রেলের লাইন উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয়। আর ওই ফাঁকা বন্ধ হয়ে যায়। ফাক না থাকলে লাইন বেঁকে যাবে। ঘর্ষণজনিত তাপে ধাতু প্রসারিত হয় তাই এই সতর্কতা গ্রহণ করা দরকার। এই জন্য লাইনে ফাক রাখা হয়।


❏ জলে লাঠি ডুবিয়ে রাখলে বাঁকা মনে হয় কেন ?


➨ জলে লাঠি ডােবালে লাঠিটি বাঁকা মনে হয় কারণ এটি আলােকের প্রতিসরণের ফলে হয়। লঘু মাধ্যম থেকে আলাে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতিসরিত হয় ও তাই লাঠি বাঁকা দেখায়।


❏ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম আমেরিকা কেন ?


➨ আমেরিগো ভেসপুচি নামে একজন ইতালিয় নাবিক প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করায় তার নামেই এই দেশটি আমেরিকা নামে পরিচিত হয়।



কপিরাইট: Sikkharpragati.com এর অনুমতি ছাড়া কোনো অংশ কপি করে অন্য কোনও ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যবহার করা অথবা অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো কারনে লেখার অংশ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, উপযুক্ত লিঙ্ক সহ সম্পূর্ন সূত্র দিয়ে কপি করার অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। আপনি কেবলমাত্র পড়াশোনার জন্য আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের হােয়াটসঅ্যাপ টেলিগ্রাম বা ফেসবুক ইত্যাদি প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এমনকি প্রিন্ট ও করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।


আমাদের কথা: যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা বানান ভুল থাকে, এই ভুল আমাদের অনিচ্ছাকৃত এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী। সঠিকটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আপডেট করে দেব।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area