গুরুত্বপূর্ণ নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ: Name And Description

গুরুত্বপূর্ণ নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ: Name And Description

গুরুত্বপূর্ণ নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ: Name And Description


গুরুত্বপূর্ণ নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ: Name And Description



❏ এ আই এ (NIA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: National Investigation Agency


সারা বিশ্বে ক্রমাগত ঘটতে থাকা জঙ্গি নৃশংসতা থেকে বেঁচে নেই ভারতবর্ষও। একের পর এক জঙ্গি হানা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। ২০০৮ সালের এন আই এ অ্যাক্টের মাধ্যমে লােকসভা এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেয়। নভেম্বর, ২০০৮ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর একটি সরকারি জঙ্গিদমন সংস্থার প্রয়ােজন মনে করেই সরকার এই সংগঠন গড়ে তােলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ পুলিশ প্রধান রাধাবিনােদ রাজুর নেতৃত্বে গড়া এই সংস্থাটির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় দেশব্যাপী ঘটা সমস্তরকম জঙ্গী আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের ওপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। 



❏ নাবার্ড (NABARD)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: National Bank for Agriculture & rural Development


ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির স্বার্থে ১৯৮২ সালের ১২ ই জুলাই স্থাপন করা হয় ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বা সংক্ষেপে নাবার্ড। ভারতের মুম্বাই -এর সদর দপ্তর। এছাড়া দেশের ২৮ টি রাজ্যের রাজধানীতেও রয়েছে এর দপ্তরগুলি। গ্রামের কৃষিক্ষেত্রে অর্থের জোগান দেওয়া, কৃষির উন্নতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই নাবার্ড। গ্রামীণ বিভিন্ন স্বনির্ভর প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ সাহায্যকারী ভূমিকা রয়েছে নাবার্ড -এর।



❏ অ্যাপেল (APPLE)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Ariane Passenger Payload Experiment


পরীক্ষামূলক সংযােগকারী উপগ্রহ হিসেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরাের পক্ষ থেকে এরিয়ানে প্যাসেঞ্জার পেলােড এক্সপেরিমেন্ট (অ্যাপেল) তৈরী করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৯ জুন ইউরােপীয় মহাকরণ সংস্থার এরিয়ানে লঞ ভেহিকেল -এর সাহায্যে এই উপগ্রহটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার যুক্ত এই উপগ্রহটি ভারতের প্রথম থ্রি-অ্যাক্সিস স্টেবিলাইজড পরীক্ষামূলক জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন উপগ্রহ। রেডিও অনুষ্ঠানের মতাে বিভিন্ন কাজে এই উপগ্রহ বিশেষ সাহায্য করে।



❏ ইউ এল সি টি এ ডি (UNCTAD)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: United Nations Conference on Trade and Development


১৯৬৪ সালের স্থাপিত এই সংস্থার মূল লক্ষ্যই হল বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলির পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়ােগ আর উন্নতির ক্রমবিকাশ করা। ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলির অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসেবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উন্নত ও উন্নতশীল দেশগুলির মধ্যের পার্থক্য নির্মূল করাই এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। বর্তমানে ১৯৩ টি দেশ ইউ এন সি টি এ ডি-র সদস্য। সংস্থাটির সদর দপ্তর রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়, আর এখানে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন কর্মী।



❏ ও ই সি ডি (OECD)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Organisation for Economic Co-operation and Development


বিশ্বের প্রধান ৩০ টি সবচেয়ে উন্নত দেশ নিয়ে গঠিত অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী | সময়ে ফ্রান্সে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সদর দপ্তর প্যারিসে। ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান প্রভৃতি দেশগুলি যুক্ত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ও ই সি ডি -র মূল লক্ষ্য হল, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমে ন বিশ্বব্যাপী উন্নত ও সুষ্ঠু বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রচলিত করা।



❏ ইউনিসকো (UNESCO)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: United Nations Educational, Scientific & Cultural Organisation


ইউনাইটেড নেশনস -এর একটি বিশেষ বিখ্যাত সংস্থা। ১৯৪৫ সালে গঠিত এই সংস্থার বর্তমান সদস্য ১৯৩ টি দেশ। ফ্রান্সের প্যারিসে সংস্থাটির সদর দপ্তর। এই সংস্থাটির লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী ঐক্য স্থাপন ও শান্তি বজায় রাখা আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানাের পথ হিসেবে সংস্থাটি বেছে নিয়েছে মূলত শিক্ষা, বিজ্ঞান আর সংস্কৃতিগত সংশােধনকে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে সংস্থাটি। মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক হেরিটেজ স্থানগুলির সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এই সংস্থার উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রেস স্বাধীনতা সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ইউনেসকোর অসংখ্য অবদান রয়েছে।



❏ হুজি (HUZI)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Harqat Ul-Zihad-Al-Islam


হরকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলাম বা এককথায় হুজি। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে গড়ে ওঠা এই জঙ্গী সংগঠনের নাশকতার বহু কৃতিত্ব রয়েছে। বাংলাদেশকে ইসলামি ' হুকুমত ' অর্থাৎ লাদেন-নির্দেশ মেনে চলা রাষ্ট্রে পরিণত করাই হুজির মূল লক্ষ্য বলে দাবি করেন সদস্যরা। সরকারি হিসেবে প্রায় ১৫,০০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছে হুজির। মুসলিম বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে এদের যােগাযােগ রয়েছে। ভারতের আলফা জঙ্গিদের সঙ্গে এদের সক্রিয় যােগাযােগ আছে। প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতামূলক কার্যকলাপকরেনিজেদের শক্তিশালী উপস্থিতি জানান দিয়েছে হুজি।



❏ ওয়াডা (WADA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: World Anti-Doping Agency


বিশ্বক্ৰীড়ায় ডােপিং -এর মতাে বেআইনি কাজকে আটকাতে ১৯৯৯ সালে সুইজারল্যান্ডে তৈরী হয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডােপিং এজেন্সি বা এক কথায় ওয়াড়া। আর এই ওয়াডার বিখ্যাত হােয়্যার অ্যাবাউটস ক্লজই তীব্র বিরােধিতার মুখে পড়েছে শচীন তথা সমস্ত ভারতীয় ক্রিকেট মহলের। এই ক্লজ অনুসারে ক্রীড়াবিদদের সংস্থাটিকে প্রতিদিন জানাতে হবে ওই সময়ে তারা কোথায় আছেন এবং কোনও আগাম নােটিস ছাড়াই সংস্থার প্রতিনিধিরা হাজির হবেন ডােপিং পরীক্ষার জন্য। এভাবে প্রতিনিয়ত নিজেদের উপস্থিতির জায়গার কথা জানালে নিজেদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে বলেই মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেট তারকারা। আর এক্ষেত্রেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রথমে আপত্তি করলেও পরে কিন্তু মেনে নিয়েছে ফিফা আর ‘ কোপেনহেগেন ডিক্লেয়ারেশন ’ নামে ১৯২ টি দেশের ঐতিহাসিক চুক্তিও রয়েছে। তাই এই আপত্তিকতটা কার্যকরী হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।



❏ অ্যাপেক (APEC)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Asia Pecific Economic Co-Operation


এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (APEC)। এটি হল প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ২১ টি দেশের সংগঠন যা সদস্য দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য এবং পারস্পরিক বিনিয়ােগের রাস্তা সুগম করার কাজ করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের মূল কার্যালয় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। অ্যাপেক -এর গুরুত্ব বােঝা যাবে এই তথ্যগুলি থেকে — সদস্য দেশগুলির মােট জনসংখ্যা, পৃথিবীর মােট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ; বিশ্বের মােট জিডিপি -র (গ্রেস ডােমেস্টিক প্রােডাক্ট) ৫৪ শতাংশ এবং বিশ্বের মােট বাণিজ্যের ৪৪ শতাংশ। সদস্য দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, আমেরিকা, রিপাবলিক অফ চায়না, হংকং-চায়না, পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না, মেক্সিকো, পাপুয়া নিডগিনি, চিলি, পেরু, রাশিয়া এবং ভিয়েতনাম। অ্যাপেক -এর বর্তমান চেয়ারম্যান তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।



❏ আই পি কে এফ (IPKF)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Indian Peace Keeping Course


পুরাে নাম ইন্ডিয়ান পিস কিপিং কোর্স। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা চুক্তি অনুসারে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীকে গৃহযুদ্ধে (তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে) সহায়তা করার জন্যই বাহিনীর পত্তন করা হয়। ভারতীয় আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্সের বিশেষ কিছু সেনাকে (মােট প্রায় এক লক্ষ) নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়। তৎকালীন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি জে আর জয়বর্ধনের বিশেষ অনুরােধে তদানীন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ থামাতে এই বাহিনী পাঠান। প্রাথমিকভাবে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানাের প্রস্তাব না-থাকলেও বিভিন্ন ঘটনায় এই বাহিনী এল টি টি ই -র গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে ২১ মে, ১৯৯১ তারিখে এল টি টি ই - এর আত্মঘাতী জঙ্গি রাজীব গান্ধীকে হত্যা করে | 



❏ গ্যাট (GATT)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: General Agreement on Tariff and Trade


পুরাে কথা জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড। ১৯৪৮ সালে তৈরি হওয়ার পর ১৯৯৪ পর্যন্ত এটির বিস্তার। ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অরগানাইজেশন (আই টি ও) বিফল হওয়ার ফলশ্রুতি হিসেবে ১৯৪৭ সালে ব্রেটন উইডস সম্মেলনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনে এই চুক্তি কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে সদস্য দেশগুলির অভিমত ছিল। গ্যাট -এর মূল লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধা হ্রাস করা প্রাথমিকভাবে এই চুক্তিতে মােট ২৩ টি দেশ সই করে যেগুলি হল — অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, মায়ানমার, কানাডা, শ্রীলঙ্কা, চিলি, চীন, কিউবা, চেকোস্লোভাক রিপাবলিক, ফ্রান্স, ভারত, লেবানন, লুক্সেমবুর্গ, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, দক্ষিণ রােডেশিয়া, সিরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউনাইটেড কিংডম, আমেরিকা। ১৯৯৩ সালে ৭৫ টি সদস্য দেশ গ্যাট -এর পরিবর্তে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন (ডব্লিউ টি ও) -এর সুপারিশ করলে ইউরােপীয় দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫ ডব্লিউ টি ও (WTO) গঠিত হয়। ডব্লিউ টি ও গঠিত হওয়ার পর চুক্তির কার্যকারিতা হ্রাস পায়।



❏ সি আই আই (CII)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Confederation of Indian Industry


পুরাে কথা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রি |এটি একটি বেসরকারি, অলাভজনক সংস্থা যা নিয়ন্ত্রিত হয় ভারতীয় শিল্প ও ব্যবসায়ীমহল দ্বারা। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটির প্রাথমিক নাম ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আয়রন ট্রেডস অ্যাসােসিয়েশন (ই আই টি এ)। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারকে চাপ দিয়ে ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য আয়রন, স্টিল ও ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদির সরকারি অর্ডারের তদ্বির করাই ছিল এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। পরে পরে ওই সংস্থার নাম বার বার বদলেছে — ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসােসিয়েশন (আই ই এ), ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসােসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান (ই এ আই), অ্যাসােসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ড্রাস্ট্রি (এ আই ই আই) এবং শেষে ১৯৯২ সালে এর নাম রাখা হয় কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রি।



❏ আই আর বি এম (IRBM)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Intermediate Range Ballistic Missile


পুরাে কথা ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল। ৩০০০-৫৫০০ কিমি পাল্লার বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র, মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল (এম আর বি এম) এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আই সি বি এম) -এর মাঝারি মানের দূরপাল্লার ও দূরনিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি মাত্র দেশে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং নিয়ন্ত্রণের কৌশল জানা আছে। দেশগুলি হল ফ্রান্স, ইউনাইটেড কিংডম, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ইজরায়েল। ভারতের অগ্নি -৩ এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। চীনের ডং ফেং -৪, পাকিস্তানের ঘাউরি -২, শাহিন -৩, উত্তর কোরিয়ার মুসুদান প্রভৃতি কয়েকটি আই আর বি এম সারা বিশ্বে আলােড়ন ফেলেছে।



❏ সেবি (SEBI)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Securities and Exchange Board of India


পুরাে কথা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বাের্ড অফ ইন্ডিয়া। ভারতের সিকিউরিটিজ বা শেয়ার মার্কেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি ১৯৮৮ সালে ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে সেবি আইন ভারতীয় পার্লামেন্ট পাস হওয়ার পর (পৌরােহিত্য করেন সি বি ভাবে) এটি স্ট্যাটিউটর ফর্ম প্রাপ্ত হয়। এর মুখ্য কার্যালয় মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে। এই সংস্থার উত্তরাঞ্চলীয় কার্যালয় নিউ দিল্লি, পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয় কলকাতা, দক্ষিণাঞ্চলীয় কার্যালয় চেন্নাই এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক অফিস আমেদাবাদে অবস্থিত। এই সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান অজয় ত্যাগী।



❏ আর অ্যান্ড এ ডব্লু (RAW)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Research and Analysis Wing


২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। এর পুরাে নাম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং। ভারত সরকারের এই গােয়েন্দা সংস্থাটির মুখ্য কার্যালয় লােদি রােড, নিউ দিল্লি এবং এটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অফিসের নিয়ন্ত্রণে। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বৈদেশিক তথ্যাবলি আহরণ, আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে অপারেশেন চালানো, দেশের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় যাবতীয় অপারেশন চালাতে প্রয়োজনীয় তথ্য় সংগ্রহ ইত্যাদি নানা প্রয়ােজনে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা। বিদেশি রাষ্ট্র সম্পর্কিত খববাখবর, ভারতীয় বিদেশ নীতি রচনায় প্রয়ােজনীয় তথ্য ইত্যাদিও এই সংস্থাটি গােপনে সংগ্রহ করে।



❏ এস আই এম আই (SIMI)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Students Islamic Movement of India


স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমি একটি উগ্রবাদী ছাত্র সংগঠন যার প্রতিষ্ঠা ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন সংস্কৃতির প্রভাব থেকে ভারত তথা ভারতীয় মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করা। ক্রমে ক্রমে উগ্রবাদী এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকপাল ও আন্দোলন এদের জনবিচ্ছিন্ন করতে থাকে। বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযােগে (বিশেষত মুম্বই-বিস্ফোরণের পর) ২০০২ সালে ভারত সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করে। মনে করা হচ্ছে বর্তমানে এই সংস্থার বেশ কিছু সদস্য। আল কায়দার ছত্রছায়ায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নাম দিয়ে ভারতে ও বাংলাদেশে এদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে ভারতে আমেদাবাদ, জয়পুর ও দিল্লিতে সিরিয়াল ব্লাস্টের পেছনেও সিমি বা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত থাকার অভিযােগ ওঠে।



❏ ফিকি (FICCI)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Federation of Indian Chambers of Commerce and Industry


পুরাে নাম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সারা ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা ১৯২৭ সালে, মহাত্মা গান্ধীর উপদেশে এবং জি ডি বিড়লা ও পুরুষােত্তম ঠক্কর - এর পৃষ্ঠপােষকতায়। ফিকির প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে। সারা ভারতের প্রায় ১৫০০ টি কর্পোরেট সংস্থা ও ৫০০ - রও বেশি কমার্স ও ব্যবসায়িক সংস্থা ফিকির সদস্য। সদস্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবসা সংক্রান্ত উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি বহু সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ও ব্যবসায়িক সহায়তা প্রদান করে ফিকি। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি হলেন জে কে গ্রুপ অফ কোম্পানিজ -এর চেয়ারম্যান উদয় শঙ্কর।



❏ ইউপ্যাক (IUPAC)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: International Union of Pure and Applied Chemistry


পুরাে কথা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি। রাসায়নিক পদার্থসমূহের বিশ্বজনীন নামকরণের সুবিধার্থে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। প্রতিটি দেশের জাতীয় রসায়ন সােসাইটিগুলির এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স (আই সি এস ইউ) -এর সদস্য এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজটি হল রাসায়নিক নামকরণের পদ্ধতি অনুসারে কোনও রাসায়নিক পদার্থের সঠিকভাবে নামকরণ হচ্ছে কি না তা দেখা।



❏ ক্যাগ (CAG)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: The Comptroller and Auditor General


ভারতের সাপেক্ষে এর অর্থ, দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। হিন্দিতে ‘ ভারতকে নিয়ন্ত্রক-মহালেখা পরীক্ষক ’ | এই পদটি ১৯৪৮ সালে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে তৈরি করা হয়। ভারত সরকার এবং প্রতিটি রাজ্য সরকারের আয় ও ব্যয়ের হিসাব অডিট করা (এর মধ্যে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সংস্থাগুলিও পড়ে) | সি এ জি -র কাজ। ক্যাগ -এর প্রধান, ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিস -এরও প্রধান। ১৯৪৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্যাগ -পদাধিকারীদের নাম— ভিনরহরি রাও (১৯৪৮-৫৪), এ কে চন্দা (১৯৫৪-৬০), এ কে রায় (১৯৬০-৬৬), এস রঙ্গনাথন (১৯৬৬-৭২), এ বক্সি (১৯৭২-৭৮), জ্ঞান প্রকাশ (১৯৭৮-৮৪), টি এন চতুর্বেদী (১৯৮৪-৯০), সি জি সােমিয়া (১৯৯০-৯৬), ভি কে সুষ্ঠু (১৯৯৬-২০০২), ভি এন কল (২০০২-০৮), বিনােদ রাই (২০০৮)।



❏ এ ডি বি (ADB)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Asian Development Bank


পুরাে নাম ‘ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ’ | এই রিজিওন্যাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা ১৯৬৬ সালে। এশিয়ান ও প্যাসিফিক দেশগুলির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। সারা বিশ্বের গরিব জনসংখ্যার দুই - তৃতীয়াংশেরও বেশি লােকের বাস এশিয়া ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞলে। বর্তমানে ৬৭ টি (৪৮ টি আঞ্চলিক ও ১৯ টি অন্য সদস্য দেশের অধিবাসীদের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জীবনযাত্রার মানােন্নয়নে এই ব্যাঙ্ক আর্থিক সাহায্য (ঋণ) দিয়ে থাকে। বিশ্বের মূলধনী  বাজারে (ক্যাপিটাল মার্কেট) বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে এবং অপেক্ষাকৃত ধনী সদস্য দেশগুলির আর্থিক সহায়তা থেকে এই ব্যাঙ্কের মােট ঋণদানের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি অর্থ আসে। এই ব্যাঙ্কে সর্বাধিক আর্থিক অনুদান দেওয়ায় জাপান থেকেই সর্বদা এই ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন। বর্তমানে এ ডি বি’র প্রেসিডেন্ট হারুহিকো কুরােদা। এ ডি বি’র মুখ্য কার্যালয় ফিলিপিন্সের ম্যানিলা শহরে অবস্থিত।



❏ নাসা (NASA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: National Aerontics and Space Administration


পুরাে নাম ন্যাশনাল অ্যারােনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)। ২৯ জুলাই, ১৯৫৮ তে প্রতিষ্ঠা হয় আমেরিকা সরকারের এই বিশ্বখ্যাত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। মহাকাশ সংক্রান্ত সকল প্রকার গবেষণার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে সাধারণমানুষ এবং মিলিটারি গবেষণাও চালায় নাসা। ফেব্রুয়ারী ২০০৬ থেকে নাসা -র নিজস্ব মিশন স্টেটমেন্টটি হল— ‘to pioneer the future inspace exploration, scientific discovery and aeronautics research নাসা -র উদ্দেশ্যে ‘সর্বসাধারণের উপকারার্থে কাজ করা। এই সংগঠনের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে বারাক হুসেইন ওবামা) এবং ২৪ মে, ২০০৯ তারিখ থেকে নাসা’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও ডেপুটি | অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে মনােনীত হয়েছেন যথাক্রমে চার্লস বলডেন ও লােরি গার্ভার। নাসার প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত ওয়াশিংটন ডি সি -তে। এদের প্রধান সহযােগী কেন্দ্রটি বর্তমানে কাজ শুরু করেছে সেন্ট লুই বেস (মিসিসিপি) -এর কাছে জন সি স্টেনিস স্পেস সেন্টার থেকে।



❏ আইফা (IIFAA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: International Indian Film Academy Awards


বলিউডি হিন্দি সিনেমার বাজার সারা বিশ্বে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে হিন্দি সিনেমার আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান উৎসব - ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম আকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস সংক্ষেপে আইফা। ২০০২ সালে লন্ডনের মিলেনিয়াম ডােম -এ অনুষ্ঠিত হয় এই পুরস্কার প্রদান উৎসব। গ্ল্যামার , তারকা ও খরচের আলােকে সারা বিশ্ব। নতুন করে চিনতে শুরু করল ভারতীয় (অথবা বলা ভাল হিন্দি) সিনেমাকে। আইফার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অমিতাভ বচ্চনের উৎসাহে ও উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সারা বিশ্বের দরবারে ভারতীয় তথা হিন্দি সিনেমাকে এক নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে আইফা পুরস্কার। একনজরে দেখে নেওয়া যেতে পারে কত সালে কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আইফা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০০০ - লন্ডন, ইউ কে; ২০০১ – সা সিটি, দক্ষিণ আফ্রিকা; ২০০২ – জেনটিং হাইল্যান্ড রিসর্ট, মালয়েশিয়া; ২০০৩ - জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা; ২০০৪ সিঙ্গাপুর; ২০০৫ আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস; ২০০৬ - দুবাই, ইউ এ ই; ২০০৭ – ইয়র্কশায়ার, থাইল্যান্ড; ২০০৮ – ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ড; ২০০৯ - ম্যাকাও, চীন, ২০১০ – কলম্বাে, শ্রীলঙ্কা, ২০১১ টরেন্টো, কানাডা, ২০১২ - সিঙ্গাপুর, ২০১৩ – ম্যাকাও, চীন, ২০১৪ - তাম্পা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ২০১৫ - কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।



❏ ইউনিসেফ (UNICEF)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: United Nations Childrens Fund


পুরাে নাম ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেন্স ফান্ড (UNICEF)। প্রতিষ্ঠা হয় ১১ ডিসেম্বর, ১৯৪৬। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেমব্লি এই সংগঠনটি তৈরী করে। প্রাথমিকভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছিল ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স এমার্জেন্সি ফান্ড। কিন্তু ১৯৫৩ সালে ইউনাইটেড নেশনস সিস্টেমের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়ে ছােট করে ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেন্স ফান্ড নাম নিলেও পুরনাে সংক্ষিপ্ত নামটিই থেকে যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শিশু এবং তার মায়েদের দীর্ঘস্থায়ী মানবিক পরিষেবা দিতে দৃঢ়সঙ্কল্প এই সংগঠনের সদস্যরা। আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে ইউনিসেফের প্রধান কার্যালয়। যদিও কোপেনহেগেন থেকে এদের যাবতীয় সাহায্য সরবরাহ করা হয়। জনসেবামূলক কাজের জন্য ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফকে নােবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ২০০৯ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী এবং বিশ্বখ্যাত ফুটবল ক্লাব বার্সিলােনা এফ সি -র জার্সিতে ইউনিসেফের লােগাে দেওয়া থাকে। এই বার্সিলােনা এফ সি -ই হল প্রথম ফুটবল ক্লাব, যারা জার্সিতে লােগাে লাগানাের জন্য ইউনিসেফ -কেই আর্থিক সাহায্য করে।



❏ পি এ টি এ (POTAA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Prevention of Terrorist Activities Act


পুরাে কথাটা হল প্রিভেনশন অফ টেররিস্ট অ্যাক্টিভিজিট অ্যাক্ট। ২০০২ সালে ভারতের পার্লামেন্টে এই আইনটি পাস হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে পূর্ববর্তী দুটি নাশকতামূলক কাজকর্ম নিরােধক আইনের স্থলাভিষিক্ত হয়। এদের একটি হল পি ও টি ও (পােটো বা প্রিভেনশন অফ টেররিজম অর্ডন্যান্স, ২০০১) এবং টি এ ডি এ (টাডা বা টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপ্টিভ অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট, ১৯৮৫-৯৫)। সাধারণ ক্রিমিন্যাল ল -এর আওতার বাইরে, দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকপাল চালানাের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কাজে লাগানাের জন্য এই আইনের উৎপত্তি। এই আইনের বলে কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে কোনও কেস ফাইল না করেও কমপক্ষে ১৮০ দিন পুলিস রিম্যান্ডে (ফাটকবন্দী) রাখা যেতে পারে। ২৬ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মুম্বই হামলার পরে এই আইনের খামতি পােষাতে ইউ এ এ (আন-লফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট) চালু হয়েছে।



❏ আই এফ এ কে (IFAK) 


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Individual First Aid Kit


পুরাে কথা ইন্ডিভিজুয়াল ফার্স্ট এইড কিট যা সমরাঙ্গনে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ‘ কিট ’ -এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডেজ, টুনিকেট বাঁধন, গজ তুলো, পােড়া ক্ষতের মলম, পানীয় জল পরিশােধক ট্যাবলেট, চটজলদি রক্ত তঞ্চনকারী অ্যান্টিহেমারেজিক/হিমােস্ট্যাটিক এজেন্ট ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশের পদাতিক সেনা (আর্মি) তাদের আইফ্যাকে রণাঙ্গনের ও যুদ্ধের প্রকৃতির ভিন্নতা অনুসারে নানা উপকরণ (চিকিৎসা সংক্রান্ত) রাখে।



❏ পি ই টি এ (PETA)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: People for the Ethical Treatment of Animals


পুরাে নাম পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমালস। এটি নরফোক (ভার্জিনিয়া প্রদেশ, আমেরিকা) অঞলের একটি প্রাণি অধিকার সংগঠন। প্রতিষ্ঠা ১৯৮০ সালে। বর্তমানে প্রায় ১৮৭ জন কর্মী এবং কুড়ি লাখেরও বেশি সদস্য সমন্বিত এই সমাজসেবী (প্রাণি অধিকার) প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল জন্তু-জানােয়ারদের ওপর অত্যাচার জনসমক্ষে আনা ও জনমত গড়ে তােলা। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল ‘ প্রাণিরা আমাদের শুধু খাদ্য নয়, পরিধান নয়, পরীক্ষার উপকরণ নয় অথবা মনােরঞ্জনের খােরাক নয় ’ –এই মত জনমানসে গড়ে তােলা। সংস্থাটি মূলত চারটি মূল প্রতিপাদ্যের ওপর কাজ করে। এগুলি হল ফ্যাক্টরি ফার্মিং, ফার ফার্মিং, অ্যানিমাল টেস্টিং এবং অ্যানিমালস ইন এন্টারটেনমেন্ট। এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি লাগামহীন মাছ ধরা, পেস্ট গণ্য করে পতঙ্গ ও প্রাণিনাশ, গৃহপালিত কুকুর বা প্রাণিদের আকটে রাখা, মুরগি লড়াই, কুকুরের লড়াই ও বুলফাইটিংয়ের মতাে ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তােলার কাজও চালায়।



❏ সিমোস (CMOS)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Complimentary Metal Oxide Semiconductor


এটিও মূলত কম্পিউটার সম্বন্ধীয় একটি বহুল ব্যবহৃত পরিভাষা। পুরাে কথাটা হল কমপ্লিমেন্টারি মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আই.সি.) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, স্ট্যাটিক RAM এবং অন্যান্য ডিজিটাল লজিক সার্কিট তৈরিতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগে। এছাড়াও নানা ধরনের অ্যানালগ। সার্কিট (যেমন ইমেজ সেন্সর, ডেটা কনভার্টার) ও হাইলি ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সসিভার তৈরিতে (যােগাযােগের কাজে ব্যবহৃত হওয়া) ব্যবহৃত হয় এই প্রযুক্তি। ১৯৬৭ সালে সি এম ও এস তৈরির পেটেন্ট পান মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক ওয়ানল্যাস।



❏ ইউ. এস. বি. (USB)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: Universal Serial Bus


কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা ইউ এস বি কথাটা প্রায়ই ব্যবহার করেন। এর পুরাে কথা হল ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস, যা কম্পিউটার এবং অন্য কোনও পেরিফেরাল ডিভাইসের মধ্যে যােগাযােগ স্থাপনের মাধ্যম। আগে সিরিয়াল ও প্যারালাল পাের্টের মাধ্যমে এই কাজটি করা হত। ১৯৯৬ সালে ইউ এস বি ১.০ আবিষ্কারের কাজটি করার জন্য গাঁটছড়া বাঁদে কমপ্যাক, ডিজিট্যাল, আই বি এম, ইনটেল ও মাইক্রোসফটের মতাে কোম্পানিগুলি। এই কমিউনিকেশন ডিভাইসের সহউদ্ভাবক একজন ভারতীয়, অজয় ভাট (যাঁকে আই বি এম -এর বিজ্ঞাপনে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়)। ইউ এস বি -এর মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং নিখুঁতভাবে মাউস, কি-বাের্ড, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, পার্সোনাল মিডিয়া প্লেয়ার, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, এক্সটাবনাল হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এবং আরও নানা ধরনের ডিভাইসের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযােগ স্থাপন করা যায়। বর্তমানে মােবাইলের চার্জারের কানেকশন | পয়েন্টও একইভাবে ইউ এস বি ধরনের করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য বা কাজ হল অতি অল্প পরিসরে ডেটা ট্রান্সফার কেবল সংযােগ সাধন।



❏ ব্লগ (BLOG)


এটি প্রকৃতপক্ষে ওয়েবলগ কথাটির অপভ্রংশ। ওয়েবসাইট (বা ইন্টারনেটে) লগ ইন করে কোনও একক ব্যক্তি রােজনামচা (বা ডায়েরি) লেখার মতাে করে নিজের মতামত লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারেন। এর সঙ্গে ছবি, গ্রাফিক্স বা ভিডিও যােগ করে দিতেও পারেন। সােজা কথায়, এটি অন লাইন ডায়েরি হিসাবেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে। সতি তথ্যের ভিত্তিতে ব্লগের বেশ কিছু প্রকারভেদ হতে পারে। যেমন - আর্টলগ (ছবির ওপর ভিত্তি করে), ফটোব্লগ (ফটোগ্রাফ জমা রাখলে), স্কেচ ব্লগ, ভি ব্লগ বা ব্লগ (ভিডিও), এম পি থ্রি ব্লগ (গান), পডকাস্টিং (অডিও বা ধ্বনি) ইত্যাদি। ই-মেলের সঙ্গে ব্লগের পার্থক্য হল ব্লগ হল ‘ ওপেন ফর অল ’। যে কেউই যে কারও লেখা পড়তে মতামত জানাতে পারেন।



❏ ইউ এল সি আই পি (UNCIP)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: United Nations Commission for India and Pakistan


পুরাে নাম ইউনাইটেড নেশনস কমিশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে কাশ্মীরের সংযুক্তি ঘটে (কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং -এর সম্মতিতে)। এর পরই ভারত ও পাকিস্তানের বিরােধ শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরের দখলদারি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে নয়াদিল্লি এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করায় রাষ্ট্রপুঞ্জ রেজলিউশন ৩৯ (১৯৪৮) পাস করে এই কমিটি গঠন করে এবং কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ভার এদের ওপর ন্যস্ত হয়। এদের রিপাের্ট মােতাবেক রেজলিউশন ৪৭ এর। বলে কাশ্মীর ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তান তার সেনা হাটিয়ে নেয়। এর পর আবার একই ইস্যুতে ১৯৫১ সালে ভারত। পাকিস্তানের যুদ্ধ বাধায় রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে ইউ এন সি আইপি -র বদলে UNMOGIP (ইউনাইটেড নেশনস মিলিটারি অবজাভার গ্রুপইন ইন্ডিয়া অ্যান্ডপাকিস্তান) নামের একটি কমিটিকে সমস্যা সমাধানের ভার দেওয়া হয়।



❏ ইউ এন কো পি উ ও স (UNCOPUOS)


❏ সম্পূর্ণ রূপ: United Nations Committee on the Peacefull Uses of Outer Space


পুরাে কথাটি হল ইউনাইটেড নেশনস কমিটি অন দ্যা পিসফুল ইউজেস অফ আউটার স্পেস বা সােজা কথায় বহির্বিশ্বের (মহাকাশ) শান্তিপূর্ণ ব্যবহার। রাশিয়া স্পুটনিক মহাকাশযান উৎক্ষেপন করার পর পরই ১৯৫৮ সালে এই সংস্থার জন্ম। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য দেশের সংখ্যা ৬৭, যার মধ্যে ভারতও আছে। মহাকাশ গবেষনার প্রারম্ভিক পর্বে রাশিয়া ও আমেরিকার পারস্পরিক রেষারেষি (যা পরে শীতযুদ্ধের সূচনা করে) এক অসম্ভব গোঁয়ার্তুমির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই সব সামলানাের জন্য হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ যার সাহায্যে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে মানবতার কথা খেয়াল রাখার প্রয়ােজনীয়তা বােঝানাে যায়। এই কমিটির দুটি সাব কমিটি আছে (সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল, লিগ্যাল) যার মূলত পাঁচটি চুক্তির সম্পাদনে নজর রাখে। এগুলি হল -


১। আউটার স্পেস ট্রিটি - চাঁদ ও অন্যান্য মহাজাগতিক স্থানে মানুষের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা।


২। রেসকিউ এগ্রিমেন্ট – মহাকাশে পাঠানাে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা


৩। লায়াবিলিটি কনভেনশন - মহাজাগতির কোনও বস্তু দ্বারা পৃথিবীর ক্ষতিসাধনের সম্ভাবনা সম্পর্কিত।


৪। রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন - মহাকাশে পাঠানাে যে কোনও দেশের মহাকাশযানের রেজিস্ট্রেশন।


৫। মুন ট্রিটি - চাঁদ ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর ওপর মানুষের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ বিধি।



❏ জে.এন.এল.ইউ.আর.এল (JNNURM)


❏ পুরাে কথা - জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন।


২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের মােট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ শহরাঞলে বসবাস করছে। ২০২১ সালের মধ্যে শহরাঞ্চলে থাকা মানুষের শতকরা হার ৪০ শতাংশ এ পৌঁছবে। তাই শহরাঞ্চলে রাস্তাঘাট, পাণীয় জল, নিত্য পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে নাগরিক পরিষেবারও আধুনিকীকরণের প্রয়ােজন হয়ে পড়েছে। এ করাণে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে শহরাঞ্চলে নাগরিক পরিষেবা বাড়ানাের জন্য এই মিশনের সূচনা করা হয়। ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে শুরু করে আগামী সাত বছরের জন্য একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এ কাজের সূচনা হয়। ৩ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং এই মিশনের সূচনা করেন।



❏ ইউ.এল.সি.সি.ডি (UNCCD)


❏ পুরাে নাম: ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন টু কমব্যাট ডেসার্টিফিকেশন। 


রাষ্ট্রপুঞ্জের অ্যাজেণ্ডা ২১ অনুযায়ী এই কনভেনশনটি ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কার্যকর হয়। খরা কবলিত এবং মরুভূমির পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আন্তর্জাতিক ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশে এই কনভেনশন চালু করা হয়। দেশীয় সরকারকে আন্তর্জাতিক সাহায্য দানের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য (মূলত আফ্রিকার খরা কবলিত দেশগুলিতে) এই কাজের সূচনা হয়। বর্তমানে ১৯৩ টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।



❏ ইউ.এল.এল.এ.জি.আই.পি (UNMOCIP)


❏ পুরাে নাম: ইউনাইটেড নেশনস মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া অ্যাণ্ড পাকিস্তান। 


১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় জম্বু এবং কাশ্মীর। এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি কমিটি গঠন করে যার নাম রাখা হয় ইউনাইটেড নেশনস কমিশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান। পরে ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে এই কমিটির নাম বদলে বর্তমান নাম রাখা হয়।



❏ ডব্লু ডব্লু এফ (WWF)


❏ পুরাে কথা: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার।


এটি একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। এরা পরিবেশের সংরক্ষণ, গবেষণা এবং পরিবেশের পুনর্গঠন প্রভৃতি বিষয়ে কাজকর্ম করে থাকে। ৯০ টি দেশের ৫০ লক্ষ পৃষ্ঠপােষক এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৩০ টি পরিবেশ সংরক্ষণ ও পুনর্গঠনের কাজে এই সংস্থাটি যুক্ত আছে। এই সংস্থার আয়ের ৬০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছাসেবক ও ব্যক্তিগত অর্থ সাহায্য থেকে এবং ৪৫ শতাংশ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউ. কে এবং নেদারল্যান্ডস থেকে।



❏ আগমার্ক (AGMARK)


❏ পুরাে কথা: এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং। 


কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৭ সালের এগ্রিকালচারাল প্রােডিউস (গ্রেডিং অ্যান্ড মার্কিং) আইন অনুযায়ী কৃষিজাত দ্রব্যের গুণমান বজায় রাখার কাজ করে। এই আইনের আওতায় আসছে বিভিন্ন দানাশস্য, ভােজ্যতেল এবং অন্যান্য খাদ্যোপযােগী কৃষিজাত দ্রব্য।



❏ সি ভ্যাট (CVAT)


❏ পুরাে কথা: সেন্ট্রাল ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স।


প্রথমে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট চালু হলেও ভারতে ১৯৮৬ সালে এটি সামান্য পরিবর্তন করে মড ভাট নামে গৃহীত হয়। ২০০৫ সাল থেকে মড ভ্যাটের নাম বদলে সেন ভ্যাট রাখা হয়। কেলকার কমিটির সুপারিশ অনুসারে ২০০৪ সালের জুলাই মাসে গুডস এ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জি.এস.টি) কে সেন ভ্যাট নাম দেওয়া হয়।



❏ আই.টি.ই.এস (ITES)


❏ পুরাে কথা: ইনফরমেশন টেকনােলজি এনেবলড সার্ভিস।


এর দুটি অংশ নলেজ, প্রসেস আউটসাের্সিং (কে.পি.ও) এবং লিগ্যাল প্রসেস আউটসাের্সিং (এল.পি.ও)। এগুলি মূলত বিজনেস প্রসেস আউটসাের্সিং (বি পি ও) এর ধারণা থেকে এসেছে। বিভিন্ন কাজ তাড়াতাড়ি করানাের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে একই সময়ে শেষ করানােকে বিপিও বলে। এই বিপিও যখন তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট হয়, তাকে বলা হয় আই.টি.ই.এস।



❏ ইনস্যাট (INSAT)


❏ পুরাে কথা: ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম।


এটি এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সব থেকে বড় ' ডােমেস্টিক কমিউনিকেশন সিস্টেম '। ১৯৮৩ সালে ইসরাে (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন) তথ্য সম্প্রচার, টেলিযােগাযােগ ও আবহাওয়া এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যের প্রয়ােজনে এই জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইটগুলিকে উৎক্ষেপণ করে। ইনস্যাট ১ -এ থেকে শুরু করে ২০০৭ সালে ইনস্যাট ৪ সি আর পর্যন্ত মােট ২১ টি বহুক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে।



❏ ই.আর.এল.ই.টি (ERNET)


❏ পুরাে কথা: এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ নেটওয়ার্ক। 


ভারতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু এবং নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে ই আর নেট এর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। ১৯৮৫ সালে ভারত সরকারের ও ইউনাইটেড নেশনস -এর আর্থিক সহায়তায় এই ই আর এন ই টি -কে তৈরি করে ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক্স। শুধুমাত্র বড় নেটওয়ার্ক তৈরির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেনি, বিভিন্ন গবেষণা ও অনুসন্ধানের বিভিন্ন প্রয়ােজনে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নানা সহায়তা দিয়ে আসছে ই আর এন ই টি।



❏ ট্রাই (TRAI)


ভারতে টেলি যােগাযােগের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারত সরকার ১৯৯৭ সালে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই নামক সংস্থাটি তৈরি করে। এই সংস্থাটি রাখার পাশাপাশি টেলি যােগাযােগ, সম্প্রচার এবং কেবল পরিষেবার ক্ষেত্রে সুব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। ভারতে টেলিকমিউনিকেশনের বাজারে সার্ভিস প্রােভাইডারের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুস্থ প্রতিযােগিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ট্রাই এর অবদান যথেষ্ট।



❏ ইফকো (IFFCO)


বিশ্বের বৃহত্তম সমবায়ভিত্তিক সার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল ইন্ডিয়ান ফার্মার ফার্টিলাইজার কো-অপারেটিভ লিমিটেড বা সংক্ষেপে ইফকো। ভারতের নতুন দিল্লিতে ৩ নভেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে এই সংস্থার পত্তন। ষাটের দশকে ভারতের মােট সার উৎপাদনের ৭০ শতাংশ সমবায় কৃষি সমিতিগুলিতে যেত। সঠিক দামে গুণগত মান বজায় রেখে সমবায়গুলিকে সার সরবরাহ করার জন্য ইফকো গঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় ৩৫, ০০০ কোটি টাকার এই সংস্থার অধিকর্তা ইউ এস অবস্থি।



❏ রেডক্রস

১৮৬৪ সালে জন হেনরি ডুরান্ট এর স্থাপনা করেন। সুইজারল্যান্ডের একজন ব্যবসায়ী জে.এচ. ডুরান্ট ১৮৫৯ সালে ইটালির মধ্য দিয়ে যাত্রা করা কালীন সলফেরিনার যুদ্ধ দর্শন করেন। এই যুদ্ধে ফ্রান্স ইটালিকে অষ্ট্রিয়ার কবল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ৩০,০০০ সৈন্য আহত ও মৃত হয়। ডুর্যান্ট সমস্ত আহত সৈন্যদের চিকিৎসা ও সেবার ব্যবস্থা করেন এবং পরে এই কাজভার চালনার জন্য একটি সমিতি তৈরী করেন। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানান এই কার্য সম্পাদনের জন্য। প্রত্যেকটি দেশে সেই ডাকে সাড়া দেয় এবং জেনিভাতে ১৮৬৪ -তে ২৬ টি রাষ্ট্রে প্রতিনিধিরা এক সম্মেলন করেন। এর ফলে জেনিভা কনভেনশন (Geneva Convention) রচিত হয় ও রেডক্রস সংস্থা স্থাপিত হয়। লালরঙের ক্রুশ চিহ্নটিকে এ সংস্থা প্রতীকরূপে গ্রহণ করে।


❏ রেডক্রস দিবস: হেনরি ড্যুরান্টের জন্মদিন, ৮ মে, প্রত্যেক বছর রেডক্রশ স্থাপনা দিবস হিসাবে ‘ বিশ্ব রেডক্রশ ডে ’ নামে উদযাপিত হয়।


উদ্দেশ্য: এর একমাত্র উদ্দেশ্য যুদ্ধপীড়িতদের সাহায্য প্রদান।


❏ প্রতীক: সাদা পৃষ্ঠভাগে লাল রঙের ক্রশটি এর বিশেষ প্রতীকরূপে ব্যবহৃত। (সুইজারল্যান্ডের পতাকার বিপরীত) এই সংস্থা ১৯৯৪ এর ৮ মে তে ১৩২ বছর পূর্ণ করে। ১২৬ তম স্থাপন দিবসে এটি ঘােষণা করে “১২৫ বছর কর্মরত এখনও বিকাশশীল” মধ্যপর্ব বা মিডলইস্ট দেশগুলিতে রেডক্রশের জায়গায় একটি অর্ধচন্দ্র ব্যবহৃত হয়, ইরানে একটি সিংহ বা সূর্যকে এর প্রতীকরূপে ব্যবহার করা হয়। সংস্থা ১৯১৭, ১৯৪৪ এবং ১৯৬৩ -তে নােবেল পুরস্কার লাভ করে। এই সংস্থাতে ১৩১ টি দেশের ২০০ মিলিয়ন সদস্য রয়েছেন।


❏ আন্তর্জাতিক রেডক্রশ কমিটি (ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রশ (ICRC) এবং লীগ অফ রেডক্রশ সােসাহটিস (LRCS) মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক রেডক্রশ গঠন করে। ১৯২৯ এ লীগ অফ রেশ সােসাইটিস গঠিত হয়।



কপিরাইট: Sikkharpragati.com এর অনুমতি ছাড়া কোনো অংশ কপি করে অন্য কোনও ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যবহার করা অথবা অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো কারনে লেখার অংশ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, উপযুক্ত লিঙ্ক সহ সম্পূর্ন সূত্র দিয়ে কপি করার অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। আপনি কেবলমাত্র পড়াশোনার জন্য আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের হােয়াটসঅ্যাপ টেলিগ্রাম বা ফেসবুক ইত্যাদি প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এমনকি প্রিন্ট ও করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।


আমাদের কথা: যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা বানান ভুল থাকে, এই ভুল আমাদের অনিচ্ছাকৃত এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী। সঠিকটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আপডেট করে দেব।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Ads Area