আলাউদ্দিন খলজীর শাসনব্যবস্থা: Alauddin Khaljis Administrative System
আলাউদ্দিন খলজীর শাসনব্যবস্থা: Alauddin Khaljis Administrative System
1. আলাউদ্দিন খলজীর শাসনব্যবস্থা বর্ণনা কর or আলাউদ্দিন খলজীর সাম্রাজ্য বিস্তার নীতি বর্ণনা কর (Describe the administrative system of Alauddin Khalji).
উত্তর: কেবল সমরকুশল সেনাপতি নয়, সুশাসক হিসেবেও আলাউদ্দিন উল্লেখযােগ্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন। গতানুগতিকতা ত্যাগ করে এক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন। বলা যেতে পারে, পরবর্তীকালে শেরশাহ যে উন্নত ও বৈজ্ঞানিক শাসনকাঠামাে প্রবর্তিত করেছিলেন, তার সূচনা করে গিয়েছিলেন আলাউদ্দিন।
(ক) রাজতান্ত্রিক আদর্শ: আলাউদ্দিন ছিলেন মুসলমান সুলতান যিনি ধর্মীয় প্রভাব থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুক্ত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ইতিপূর্বে শাসনব্যাপারে উলেমা, কাজী প্রমুখ ধর্মীয় নেতাগণ হস্তক্ষেপ করতেন। কিন্তু আলাউদ্দিন স্পষ্টভাবে ঘােষণা করলেন শাসনকার্যে সুলতানই সর্বেসর্বা। এখানে কোন প্রকার ধর্মীয় হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। (Religion has nothing to do with politics)। এজন্য তাঁকে প্রচুর প্রতিরােধের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু আলাউদ্দিন শেষ পর্যন্ত নিজ সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
❏ অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে ব্যবস্থা: স্থায়ী এবং সুদৃঢ় শাসন প্রবর্তন করাই ছিল আলাউদ্দিনের প্রধান উদ্দেশ্য। এজন্য তিনি বেশ কয়েকটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমীর ওমরাহের উচ্চাকাঙক্ষা ও স্বাধীনতা-স্পৃহা ছিল সে যুগের একটি বড় সমস্যা। আলাউদ্দিনের শাসনের শুরুতেই এরূপ একাধিক বিদ্রোহ তাকে ব্রিবত করে। তাই আলাউদ্দিন তার গুপ্তসভা " মজলিস-ই-খাস " এর সাথে আলােচনা করে বিদ্রোহের চারটি কারণ নির্ণয় করেন। যথা-
(1) গুপ্তচর-ব্যবস্থার দুর্বলতা
(2) অত্যধিক মদ্যপানের অভ্যাস
(3) আমীর-ওমরাহদের মধ্যে অবাধ মেলামেশা ও আত্মীয়তা এবং
(4) প্রজাদের আর্থিক সচ্ছলতা এবং তজ্জনিত সুলতান-বিরোধী মানসিকতা। বিদ্রোহের কারণসমূহ নির্ণয়ের পর সেগুলিকে নির্মূল করার জন আলাউদ্দিন কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন-
(A) গুপ্তচর নিয়ােগ: তিনি দেশের সর্বত্র গুপ্তচর নিয়ােগ করেন এবং গুপ্তচরের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। এদের মাধ্যমে সুলতান নিয়মিত সারাদেশের পরিস্থিতি জানতে এবং তার মােকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
(B) মদ্যপান নিষিদ্ধকরণ: এক নির্দেশ জারি করে আলাউদ্দিন মদ্যপান নিষিদ্ধ করেন। দিল্লীর বাউন ফটকের সামনে অতি সমারােহের সাথে ব্যক্তিগত সুরাপাত্রগুলি ভেঙে ফেলে সুলতান মদ্যপান বন্ধের সূচনা করেন। মদ তৈরি করা ও বিক্রয় করা নিষিদ্ধ করা হয়। মদ-প্রস্তুতকারকদের অনুমতি বাতিল করা হয়। অবশ্য কিছুদিন পরে আলাউদ্দিন তার আদেশ কিছুটা সংশােধন করে নিজগৃহে মদ তৈরি ও পান করার অনুমতি প্রদান করেন।
(C) অভিজাতদের মেলামেশা নিয়ন্ত্রণ: এক হুকুমনামা জারি করে উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়। সুলতানের অনুমতি ছাড়া অভিজাতদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন, উৎসব ও সামাজিক অনুষ্ঠানে মিলিত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। এইসব বিধিনিষেধ প্রয়ােগ করার ব্যাপারে সুলতান ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। বস্তুত এর ফলে আমীর ওমরাহদের মধ্যে প্রকাশ্যভাবে আলাপ-আলোচনা বা মেলামেশা বন্ধ হয়ে যায়।
(D) সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ: অভিজাতদের আর্থিক প্রাচুর্য বন্ধ করার জন্য আলাউদ্দিন এ আদেশ বলে অভিজাত, ব্যবসায়ী ও মহাজনদের অতিরিক্ত ভূ-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। ইতিপূর্বে সুলতানের আদেশে যেসব জায়গির প্রদান করা হয়েছিল, সেগুলাে বাজেয়াপ্ত করে। সরকারের খাস (খানিসা) জমিতে পরিণত করা হয়। ঐতিহাসিক বারণীর মতে, এই ব্যবস্থার ফলে একমাত্র মালিক, আমীর, সরকারি কর্মচারী ও বণিক ছাড়া অন্য কারাে গৃহে সােনা ছিল না।
(খ) শাসন সংগঠন: শাসনকার্য পরিচালনার জন্য আলাউদ্দিন বহু কর্মচারী নিযুক্ত করেন। এই আমলাতন্ত্রের প্রধান ছিলেন উজীর ও প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় ছিলেন দেওয়ান-ই-আস্রাখ।
ইনি ছিলেন রাজস্ববিভাগের ভারপ্রাপ্ত। সামরিক বিভাগের প্রধান ছিলেন আরিজ-ই-মামলিক বা যুদ্ধ মন্ত্রী। এছাড়া, বক্সী-ই-ফৌজ, আমীর-ই-কোহী, শাহান-ই-মণ্ডী প্রভৃতি কর্মচারীরা যথাক্রমে সেনাদলের বেতন ও ভাতা, কৃষি-বিভাগ ও বাজার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। বিচার-বিভাগের প্রধান ছিলেন কাজী-উল-মামালিক বা প্রধান কাজী। শাসনের সুবিধার জন্য আলাউদ্দিন তার সাম্রাজ্যকে ১১ টি প্রদেশে বিভক্ত করে প্রতিটি প্রদেশের দায়িত্ব একজন করে মালিকের উপর দেন। প্রদেশের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রে পাঠানাে বাধ্যতামূলক ছিল। সুলতান গুপ্তচর-বাহিনীর মাধ্যমে প্রদেশের সমস্ত খবরাখবর সংগ্রহ করতেন।
বিচারবিভাগের সর্বোচ্চ ছিলেন সম্রাট স্বয়ং। তবে প্রধান কাজী, মুফতি প্রভৃতি কর্মচারী তাকে বিচারকার্যে সাহায্য করতেন। ফৌজদারী আইনবিধি ছিল খুব কঠোর। বেত্রাঘাত, শূলে চড়ানাে এবং প্রাণদণ্ড শাস্তি হিসেবে দেওয়ার রীতি ছিল।
(গ) রাজস্ব সংস্কার: আলাউদ্দিনের রাজস্ব-শাসন ছিল বিশেষ উল্লেখযােগ্য। সাধারণভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং মধ্যস্বত্বভােগী খুৎ, মােকাদ্দম, চৌধুরী প্রভৃতির শােৰণ থেকে কৃষকদের মুক্ত করার জন্য তিনি রাজস্বক্ষেত্রে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
(1) সম্পত্তি রাষ্ট্রীয়করণ: এক আদেশ জারি করে পূর্ববর্তী সুলতানদের আমলে রাষ্ট্রীয় মজুরি (মিল্ক), সাধারণ দান (ওয়াকফ) রাষ্ট্রীয় দান বা পুরস্কার (ইনাম) বাবদ দেওয়া সব জমি বাজেয়াপ্ত করে সরকারি খালিসাতে পরিণত করেন। খালিসা জমিতে কৃষকদের সাথে সরকারের সরাসরি বন্দোবস্তু হত। ফলে কৃষকদের মধ্যস্বত্বভােগীদের নির্যাতন সহ্য করতে হত না |
(2) গ্রামীণ মধ্যস্বত্বভােগীদের নিয়ন্ত্রণ: এক আদেশবলে আলাউদ্দিন খুৎ, মুকুদ্দম, চৌধুরী প্রভৃতি হিন্দু ভূম্যধিকারীদের বিশেষ সুযােগ-সুবিধা সব বাতিল করে দেন। এঁরা ছিলেন গ্রামীণ রাজস্ব-সংগ্রাহক। ফলে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা ভােগ করতেন; যেমন এঁরা কোন কর দিতেন না। আলাউদ্দিন এঁদের উপর সাধারণ প্রজার হারে কর ধার্য করেন। সেইসঙ্গে এঁদের দামী পালকি চড়া, আরবী ঘােড়া বা হাতির ব্যবহার, দামী পােশাক পরা এবং শিকার করা ও মদ্যপান করা নিষিদ্ধ করা হয়।
(3) ইক্তাদারদের নিয়ন্ত্রণ: ইক্তাদারদের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। নিয়ম ছিল ইক্তাদারদের আদায়ীকৃত রাজস্ব থেকে নিজের ও সেনাবাহিনী খরচ-খরচা বাদ দিয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ দিল্লীতে পাঠাবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইদাররা প্রকৃত আদায় কম দেখিয়ে নিজের অর্থ আত্মসাৎ করতেন। এই কারচুপি বন্ধ করার জন্য আলাউদ্দিন ইতাদারদের হিসেব পরীক্ষা করার জন্য সরকারি কর্মচারী নিযুক্ত করেন। অসৎ কর্মচারীদের কঠোর শাস্তিদানেরও ব্যবস্থা করেন।
(4) করবিন্যাস: রাজকোষের ঘাটতি মেটানাের জন্য আলাউদ্দিন বাড়তি রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করেন। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে উৎপন্ন ফসলের শতকরা ৫০ ভাগ ভূমি-রাজস্ব হিসেবে আদায় করতেন। এছাড়া, চরাই (চারণ-কর), ঘরাই (গৃহকর), করহি (আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক) প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতেন।
❏ জমি জরিপ: আলাউদ্দিনের বিশেষ কৃতিত্ব ছিল জমি জরিপের ব্যবস্থা করা। এতকাল পর্যন্ত আন্দাজে ভূমি রাজস্ব নির্ণীত হত। আলাউদ্দিন সমস্ত জমি জরিপ করে তার উৎপাদিকা শক্তি বিবেচনা করে রাজস্ব নির্ধারণের ব্যবস্থা করেন। তবে ঐতিহাসিক মােরল্যাণ্ডের মতে, উত্তর ভারতের সমস্ত জমি আলাউদ্দিনের পক্ষে জরিপ করা সম্ভব হয়নি।
❏ উদ্দেশ্য:
❏ বাজার ও বাজার দর নিয়ন্ত্রণ: আলাউদ্দিনের শাসনব্যবস্থার বিশেষ উল্লেখযােগ্য দিক ছিল তার বাজার (মূল্য) নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। চিতাের জয় করে ফিরে এসে আলাউদ্দিন একাধিক নিয়ন্ত্ৰণাদেশ জারি করে বাজার-দর নিয়ন্ত্রণ করেন। বাজার-দর নিয়ন্ত্রণে আলাউদ্দিনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সুফী সন্ত শেখ নাসিরুদ্দিন চিরাগ -এর মতে, জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যেই আলাউদ্দিন এই কাজ করেছিলেন। কারণ সুলতান মনে করতেন, ন্যায্য দামে প্রয়ােজনীয় দ্রব্য জনসাধারণের কাছে পৌছে দেওয়া তার নৈতিক কর্তব্য। কিন্তু গবেষক কে. এস. লাল মনে করেন, সুফী সন্ত -এর বক্তব্য গ্রহণযােগ্য নয়। কারণ সুলতানের দরবারে পাঠের জন্যই তা রচিত হয়েছিল। বরণীর বক্তব্য থেকে জানা যায়, সাময়িক প্রয়ােজনেই আলাউদ্দিন বাজার-দর নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ তিনি সৈন্যদের যে হারে বেতন দিতেন, তাতে মূল্যমান নিয়ন্ত্রণ-করলে তা সৈন্যদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেত। তিনি আরও বলেছেন যে, প্রধানত, হিন্দুদের জব্দ করার জন্য তিনি এই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউ. এন. দে প্রমুখের মতে, বরণীয় ব্যাখ্যা সঠিক নয়। তাঁদের যুক্তি হল তুলনামূলক বিচারে আলাউদ্দিনের সময়ে সৈন্যদের বেতনহার খুব কম ছিল না। তাছাড়া, কেবল হিন্দু নয়, মুসলমানরাও মূল্য নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ড. দে প্রমুখের মতে, সামরিক প্রয়ােজন এবং মুদ্রাস্ফীতি-জনিত মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করার জন্যই আলাউদ্দিন মূল্য-নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করেছিলেন।
❏ যাই হােক, আলাউদ্দিন নিত্যব্যবহার্য সমস্ত দ্রব্যেরই মূল্য নির্দিষ্ট করে দেন। সমস্ত বণিক ও পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের নাম নথিভুক্ত করেন। পণ্যসরবরাহে শিথিলতা দেখালে বা অতিরিক্ত মূল্য নিলে ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হত। পাথরের বাটখারার পরিবর্তে লােহার বাটখারা ও মাপদণ্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।
❏ বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তদারকি করার জন্য 'সাহান-ই-মণ্ডি' নামক কর্মচারী -পদ সৃষ্টি করা হয়। দিওয়ান-ই-রিয়াস নামক কর্মচারীরা সাহান-ই-মণ্ডিকে সাহায্য করত। প্রয়ােজনে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য তিনি একাধিক খাদ্য-গুদাম নির্মাণ করেন।
মূল্যায়ন: আলাউদ্দিনের শাসনব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দিল্লী-সুলতানিকে সুসংহত ও সুদৃঢ় করেছিল। তার দৃঢ়তার ফলেই দেশ অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহজনিত সংকট থেকে রক্ষা পেয়েছিল। আলাউদ্দিনের রাজস্বব্যবস্থার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ইরফান হাবিবের মতে, 'আলাউদ্দিন তাঁর রাজস্বব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ দুই শ্রেণীর মধ্যে শক্তিশালীর বিরুদ্ধে দুর্বলকে রক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন |' (" Alauddin conciously utilised the conflict between the two rural classes by standing forth as the protector of the ' weak ' against the strong ' ") একথা বহুলাংশে সত্য হলেও কৃষকদের উপর শােষণ সার্বিকভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি কর্মচারীদের দুর্নীতি রদ করতে পারেননি। কে. এস. লাল বলেছেন, " আলাউদ্দিনের রাজস্ব-আইনের লক্ষ্য ছিল ধনী-জমিদারদের দমন করা, কিন্তু এই আইনগুলি কৃষকদের স্বার্থেরও কম ক্ষতিকারক ছিল না। " তাঁর ভাষায়, " The Revenue Regulations of Alauddin were meant to crush the high landlords, they where in no way less prejudicial to the interest of the peasantry. "
❏ অতিরিক্ত হারে ভূমি রাজস্ব আদায়ের ফলে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছিল। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতিস্বরূপ পরবর্তীকালে কৃষক-আন্দোলন দেখা দিয়েছিল। তাঁঁর বাজার নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আপাতদৃষ্টিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রদ করেছিল ঠিকই, তবে এর ত্রুটিও কম ছিল না | তিনি মূল্যমান স্থির করতে গিয়ে উৎপাদন-ব্যয় (Production cost) বিবেচনা করেন নি। ফলে উৎপাদক-কৃষকেরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় গভীরতা কম ছিল বলেই আলাউদ্দিনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই বাজার নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এইসব বিবেচনা করেই ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, “ The foundation of the military monarchy that he (Alauddin) tried to build up was, however, laid upon sand. ”
কপিরাইট: Sikkharpragati.com এর অনুমতি ছাড়া কোনো অংশ কপি করে অন্য কোনও ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যবহার করা অথবা অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো কারনে লেখার অংশ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, উপযুক্ত লিঙ্ক সহ সম্পূর্ন সূত্র দিয়ে কপি করার অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। আপনি কেবলমাত্র পড়াশোনার জন্য আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের হােয়াটসঅ্যাপ টেলিগ্রাম বা ফেসবুক ইত্যাদি প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এমনকি প্রিন্ট ও করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।
আমাদের কথা: যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা বানান ভুল থাকে, এই ভুল আমাদের অনিচ্ছাকৃত এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী। সঠিকটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আপডেট করে দেব।
Please do not share any spam link in the comment box