শব্দের মাত্রা
The level of sound
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ "শিক্ষার প্রগতি" আপনাদের সাথে শেয়ার শেয়ার করছে শব্দের মাত্রা ,যা আপনাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ভীষণভাবে সাহায্য করবে। বিগত পরীক্ষা গুলিতে এ থেকে প্রশ্ন কমন এসেছে তাই আশা করছি আবারও পরীক্ষায় আসতে পারে, তাই আর দেরী না করে নিচের দেওয়া লিংক থেকে PDF ফাইলটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন।
আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ "শিক্ষার প্রগতি" আপনাদের সাথে শেয়ার শেয়ার করছে শব্দের মাত্রা ,যা আপনাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ভীষণভাবে সাহায্য করবে। বিগত পরীক্ষা গুলিতে এ থেকে প্রশ্ন কমন এসেছে তাই আশা করছি আবারও পরীক্ষায় আসতে পারে, তাই আর দেরী না করে নিচের দেওয়া লিংক থেকে PDF ফাইলটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন।
বিভিন্ন Competitive Exam-এ আসার মতো সঙ্গে PDF-ও থাকছে ,সুতরাং প্রশ্ন গুলি পড়েনিন আর নিচে দেওয়া লিংক থেকে PDFটি ডাউনলোড করে নিন
আরো পড়ুন :
প্রকৃতি জগতের প্রত্যেক প্রাণীরই তার স্বজাতির সাথে ভাবের আদান-প্রদানের সাধারণ মাধ্যম শব্দ। শব্দ এমন এক প্রকার শক্তি, যা কোন কম্পনশীল বস্তু হতে উৎপন্ন হয়ে জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এসে আমাদের কানে শ্রবনের অনুভূতি জাগায় বা জাগাতে চেষ্টা করে।
সাধারণ শব্দের তীব্রতা পরিমাপক ডেসিবেল (মানদণ্ড) এবং শব্দ দূষণঃ
শ্রবণানুভূতি সৃষ্টিকারী সাধারণ শব্দের ‘ন্যূনতম তীব্রতা’ বা ‘প্রমাণ তীব্রতা মাত্রা’ Acoustical Society of America দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। সোসাইটির নির্ধারণ অনুসারে সাধারণ শব্দের শ্রবণানুভূতি সৃষ্টিকারী প্রমাণ তীব্রতা মাত্রা হচ্ছে শূন্য ডেসিবেল। সোসাইটি নির্ধারিত এই ডেসিবেল স্কেল তীব্রতা মানের একটি লগ স্কেল। এই স্কেল অনুসারে শব্দের তীব্রতা মাত্রা ০ হতে ১৪০ ডেসিবেলের যে কোনো মাত্রায় কানের শ্রুতিগ্রাহক অঙ্গ ‘অর্গান অব কর্টি’র ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতির মাত্রা ডেসিবেল স্কেলের উচ্চতম তীব্রতা মাত্রায় (৭০-১৪০ ডেসিবেল) সর্বাপেক্ষায় বেশি।
এক নজরে মনুষ্য সৃষ্ট শব্দের বিভিন্ন উৎস, শব্দের তীব্রতা এবং শ্রবণেন্দ্রীয়ের উপর প্রভাবঃ
শব্দের উৎস
|
শব্দের তীব্রতা (ডেসিবেল)
|
শ্রবণেন্দ্রীয়ের উপর প্রভাব
|
রকেট উৎক্ষেপণ
|
১৮০
|
অস্বস্তিকর বা যন্ত্রণাদায়ক
|
জেট বিমান
|
১৪০
| |
বজ্রপাত
|
১২০
| |
রকেট
|
১১৫
|
কান ফাটা বা কানে তালা লাগা
|
কামান
|
১১০
| |
এরোপ্লেন বা বয়লার বা ফ্যাক্টরি
|
১০০
|
খুব তীব্র শব্দ
|
পাতাল ট্রেন
|
৯০
| |
ব্যস্ত রাস্তা বা শহরে কলকারখানা
|
৮০
|
মধ্যম তীব্র শব্দ
|
রেডিও (খুব জোরে বাজালে)
|
৭০
| |
সাধারণ কথাবার্তা
|
৬০
|
স্বাভাবিক শব্দ/মৃদু শব্দ
|
অফিস বা বাসা-বাড়ি
|
৪০
| |
শান্ত অফিস বা বাসা-বাড়ি
|
৩০
|
অতি ক্ষুদ্র শব্দ
|
ফিসফিস
|
২০
| |
গাছের পাতা ঝরা
|
১০
|
অতি কষ্টে শোনা যায়
|
শ্রাব্যতা সীমা
|
০
|
এবার আসা যাক ডেসিবেল কী?
‘বেল’ এবং ডেসিবেল হচ্ছে শব্দের তীব্রতা নির্দেশক একক।
শব্দ দূষণের প্রভাবঃ
শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
১। শ্রুতিযন্ত্রীয় ফলঃ
(ক) হঠাৎ অতি উচ্চ মাত্রার (৭০-১৪০ ডেসিবেল) শব্দের প্রভাবে মানুষের শ্রবণতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে। এমনকি কর্ণপটই ছিঁড়ে যেতে পারে।
(খ) সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা করে ৯০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করে শেষ জীবনে চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার সময় বধিরতা দেখা দেয়।
(গ) সাময়িক ৯০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রায় শ্রুতি ক্লান্তি ঘটে। তার সাথে উপসর্গ হিসেবে যোগ হয় কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে থাকা।
(ঘ) ১২০-১৫০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রায় মানুষ পুরোপুরি বধির হয়ে যায়।
(ঙ) শ্রুতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় উচ্চ শব্দযুক্ত শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের শ্রবণশক্তি ১০ বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।
২। শ্রুতিযন্ত্র বহির্ভুত ফলঃ
(ক) মেজাজ খিটখিটে হয়।
(খ) পড়া-শুনা বা কাজে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ভুল সিদ্ধান্তের প্রবণতা বাড়ায়।
(গ) ৫০-৬০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রার দূষণ সংলাপ যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটায় এবং অনের সময় শব্দের সংকেত বা সাবধানবাণী সম্বন্ধে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
(ঘ) অতি উচ্চ মাত্রার শব্দ দূষণের কারণে মানুষের শ্বসনের হার পরিবর্তিত হয়। ফলে মানুষ শ্বাস কষ্টজনিত রোগে ভোগে।
(ঙ) শব্দ দূষণের ফলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
(চ) রক্তবাহিকা সংকুচিত হয়ে হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদপেশীর কর্মক্ষমতা করে যায়, স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে, ত্বক ফ্যাকাসে হয় ও মাংসপেশী উত্তেজনায় কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া ধমনী কাঠিন্যতা প্রাপ্ত হয়ে রক্ত প্রবাহে বিঘ্ন ঘটায়। এতে হৃদরোগ, খেয়ালপনা প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি হয়।
(ছ) শব্দ দূষণের ফলে পাকস্থলিতে অম্লতা বেড়ে পরিপাকের বিঘ্ন ঘটায় এবং আলসারের সৃষ্টি করে।
(জ) বিমানবন্দর সংলগ্ন অধিবাসী মহিলাদের প্রায়ই ভ্রুণ বিচ্যুতি ঘটে কিংবা কম ওজনের শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
(ঝ) শব্দ দূষণের কারণে শিশুরা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
(ঞ) শব্দ দূষণের প্রভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতাযুক্ত কাজে একাগ্রতা বিঘ্নিত হয়, তাছাড়া মাথা ধরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি উপসর্গের আবির্ভাব ঘটে
পিডিএফ ডাউনলোড করবার জন্য নিচে যান
আরো পড়ুন :
নিচে পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করুন
পিডিএফ ফাইল টি কেমন লাগলো কমেন্ট বাক্স এ জানাবেন .
আপনাদের মতামত পেলে আমরা উতসাহিত হব
PDF FILE DETAILS
FILE SIZE : 400 kb
Quality : High
Format : Pdf
File Location : Google Drive
DOWNLOAD : CLICK HERE TO DOWNLOAD
Please do not share any spam link in the comment box