হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ "শিক্ষার প্রগতি" আপনাদের সাথে শেয়ার শেয়ার করছে,যা আপনাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ভীষণভাবে সাহায্য করবে। বিগত পরীক্ষা গুলিতে এ থেকে প্রশ্ন কমন এসেছে তাই আশা করছি আবারও পরীক্ষায় আসতে পারে, তাই আর দেরী না করে নিচের দেওয়া লিংক থেকে PDF ফাইলটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন।
আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ "শিক্ষার প্রগতি" আপনাদের সাথে শেয়ার শেয়ার করছে,যা আপনাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ভীষণভাবে সাহায্য করবে। বিগত পরীক্ষা গুলিতে এ থেকে প্রশ্ন কমন এসেছে তাই আশা করছি আবারও পরীক্ষায় আসতে পারে, তাই আর দেরী না করে নিচের দেওয়া লিংক থেকে PDF ফাইলটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন।
বিভিন্ন Competitive Exam-এ আসার মতো সঙ্গে PDF-ও থাকছে ,সুতরাং প্রশ্ন গুলি পড়েনিন আর নিচে দেওয়া লিংক থেকে PDFটি ডাউনলোড করে নিন
কিছু নমুনা প্রশ্নোত্তর নিচে আলোচনা করা হল আগে দেখুন তারপর ডাউনলোড করুন :-
ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ ও উচ্চারণবিধি
ধ্বনি
স্বরধ্বনি
ব্যঞ্জনধ্বনি
বর্ণ
স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ
হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি
বাংলা বর্ণমালা
বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ ; কার ও ফলা
উচ্চারণবিধি
স্বরধ্বনির উচ্চারণ
ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ
স্পর্শ ব্যঞ্জন
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি
উষ্মধ্বনি বা শিশ্ধ্বনি
ঃ (বিসর্গ)
কম্পনজাত ধ্বনি- র
তাড়নজাত ধ্বনি- ড় ও ঢ়
পার্শ্বিক ধ্বনি- ল
আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম
পরাশ্রয়ী বর্ণ : ং,ঃ,ঁ
স্পর্শধ্বনির (ও অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধ্বনি) একটি পূর্ণাঙ্গ ছক
অন্তঃস্থ ধ্বনি
কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ
ধ্বনি : কোন ভাষার উচ্চারণের ক্ষুদ্রতম এককই হলো ধ্বনি। ভাষাকে বা ভাষার বাক প্রবাহকে বিশেলষণ করলে কতগুলো ক্ষুদ্রতম একক বা মৌলিক ধ্বনি পাওয়া যায়। যেমন- অ, আ, ক্, খ্, ইত্যাদি।
ধ্বনি মূলত ২ প্রকার- স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
স্বরধ্বনি : ধ্বনি উচ্চারণের সময় মানুষ ফুসফুস থেকে কিছু বাতাস ছেড়ে দেয়। এবং সেই বাতাস ফুসফুস কণ্ঠনালী দিয়ে এসে মুখ দিয়ে বের হওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় ধাক্কা খেয়ে বা বাঁক খেয়ে একেক ধ্বনি উচ্চারণ করে। যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় এই বাতাস কোথাও বাধা পায় না, বা ধাক্কা খায় না, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন, অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ইত্যাদি। এগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে মুখের বাহিরে আসতে কোথাও ধাক্কা খায় না।
ব্যঞ্জনধ্বনি : যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখের বাহিরে আসার পথে কোথাও না কোথাও ধাক্কা খায়, বা বাধা পায়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক্, খ্, গ্, ঘ্, ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস জিহবামূল বা কণ্ঠ্যে ধাক্কা খায়। তাই এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনি।
বর্ণ : বিভিন্ন ধ্বনিকে লেখার সময় বা নির্দেশ করার সময় যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে বর্ণ বলে।
স্বরবর্ণ : স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে স্বরবর্ণ বলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে।
হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি : আমরা যখন ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করি, তখন তার শেষে একটি স্বরধ্বনি ‘অ’-ও উচ্চারণ করি। যেমন, ‘ক্’ কে উচ্চারণ করি (ক্ + অ =) ‘ক’। উচ্চারণের সুবিধার জন্য আমরা এই কাজ করি। কিন্তু স্বরধ্বনি ছাড়া ‘ক্’ উচ্চারণ করলে সেটা প্রকাশ করার জন্য ‘ক’-এর নিচে যে চিহ্ন (& )দেয়া হয়, তাকে বলে হস্ / হল চিহ্ন। আর যে ধ্বনির পরে এই চিহ্ন থাকে, তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি। কোন বর্ণের নিচে এই চিহ্ন দেয়া হলে তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত বর্ণ।
বাংলা বর্ণমালা : বাংলা বর্ণমালায় বর্ণ আছে মোট ৫০টি। নিচে বর্ণমালা অন্যান্য তথ্য সহকারে দেয়া হলো-
পূর্ণমাত্রা
|
অর্ধমাত্রা
|
মাত্রাহীন
| ||||||||||||||
স্বরবর্ণ
|
অ
|
আ
|
ই
|
ঈ
|
উ
|
ঊ
|
ঋ
|
এ
|
ঐ*
|
ও
|
ঔ*
|
৬
|
১
|
৪
| ||
ব্যঞ্জনবর্ণ
|
ক
|
খ
|
গ
|
ঘ
|
ঙ
|
২
|
২
|
১
| ||||||||
চ
|
ছ
|
জ
|
ঝ
|
ঞ
|
৪
|
-
|
১
| |||||||||
ট
|
ঠ
|
ড
|
ঢ
|
ণ
|
৪
|
১
|
-
| |||||||||
ত
|
থ
|
দ
|
ধ
|
ন
|
৩
|
২
|
-
| |||||||||
প
|
ফ
|
ব
|
ভ
|
ম
|
৪
|
১
|
-
| |||||||||
য
|
র
|
ল
|
৩
|
-
|
-
| |||||||||||
শ
|
ষ
|
স
|
হ
|
৩
|
১
|
-
| ||||||||||
ড়
|
ঢ়
|
য়
|
ৎ
|
৩
|
-
|
১
| ||||||||||
ংঃ
|
ঁ
|
-
|
-
|
৩
| ||||||||||||
মোট স্বরবর্ণ
|
১১
|
মোট ব্যঞ্জনবর্ণ
|
৩৯
|
মোট বর্ণ
|
৫০
|
পূর্ণ, অর্ধ ও মাত্রাহীন বর্ণ
|
৩২
|
৮
|
১০
| |||||||
* এই দুটি স্বরধ্বনিকে দ্বিস্বর বা যুগ্ম স্বরধ্বনি বলে। কারণ, এই দুটি মূলত ২টি স্বরধ্বনির মিশ্রণ। যেমন- অ+ই = ঐ, অ+উ = ঔ বা ও+উ = ঔ। অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মূলত ৯টি।
বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ ; কার ও ফলা : প্রতিটি স্বরবর্ণ ও কিছু কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ দুটো রূপে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, স্বাধীনভাবে শব্দের মাঝে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক সময় অন্য কোন বর্ণে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপে বা আশ্রিত রূপেও ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘আ’ বর্ণটি ‘আমার’ শব্দের স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার ‘ম’-র সঙ্গে আশ্রিত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপেও (া ) ব্যবহৃত হয়েছে।
স্বরবর্ণের এই আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে কার, আর ব্যঞ্জনবর্ণের আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে ফলা। উপরে ‘আমার’ শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে যুক্ত ‘আ’-র সংক্ষিপ্ত রূপটিকে (া ) বলা হয় আ-কার। এমনিভাবে ই-কার ( w ), ঈ-কার ( x ), উ-কার ( y ), ঊ-কার ( ~ ), ঋ-কার (ৃ ), এ-কার ( † ), ঐ-কার ( ˆ ), ও-কার ( ো), ঔ-কার ৌ) কার। তবে ‘অ’ এর কোন কার নেই।
আবার আম্র শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে ‘র’ সংক্ষিপ্ত রূপে বা ফলা যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত রূপটি (ª ) র-ফলা। এরকম ম-ফলা ( ¨ ), ল-ফলা ( ), ব-ফলা ( ^ ), ইত্যাদি।
উচ্চারণবিধি
স্বরধ্বনির উচ্চারণ
স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে বের হয়ে কোথাও বাধা পায় না। মূলত জিহবার অবস্থান ও ঠোঁটের বিভিন্ন অবস্থার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। নিচে স্বরধ্বনির উচ্চারণ একটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো-
জিহবার অবস্থান
|
জিহবা সামনে আগাবে
ঠোঁটের প্রসারণ ঘটবে
|
জিহবা শায়িত অবস্থায়
ঠোঁট স্বাভাবিক/ বিবৃত
|
জিহবা পিছিয়ে আসবে
ঠোঁট গোলাকৃত হবে
|
উচ্চে
|
ই ঈ
(উচ্চসম্মুখ স্বরধ্বনি)
|
উ ঊ
(উচ্চ পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
| |
উচ্চমধ্যে
|
এ
(মধ্যাবস্থিত সম্মুখ স্বরধ্বনি)
|
ও
(মধ্যাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
| |
নিম্নমধ্যে
|
অ্যা
(নিম্নাবস্থিত সম্মুখ স্বরধ্বনি)
|
অ
(নিম্নাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
| |
নিম্নে
|
আ
(কেন্দ্রীয় নিমণাবস্থিত স্বরধ্বনি, বিবৃত ধ্বনি)
|
যৌগিক স্বরধ্বনি : পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে তারা উচ্চারণের সময় সাধারণত একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়ে থাকে। পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হলে মিলিত স্বরধ্বনিটিকে বলা হয় যৌগিক স্বর, সন্ধিস্বর, সান্ধ্যক্ষর বা দ্বি-স্বর।
বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বর মোট ২৫টি। তবে যৌগিক স্বরবর্ণ মাত্র ২টি- ঐ, ঔ। অন্য যৌগিক স্বরধ্বনিগুলোর নিজস্ব প্রতীক বা বর্ণ নেই।
ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ
উচ্চারণ অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো অনেকগুলো ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
স্পর্শ ব্যঞ্জন : ক থেকে ম পর্যন্ত প্রথম ২৫ টি ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস মুখগহবরের কোন না কোন জায়গা স্পর্শ করে যায়। এজন্য এই ২৫টি বর্ণকে বলা হয় স্পর্শধ্বনি বা স্পৃষ্টধ্বনি।
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ- এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ- এগুলো ঘোষ ধ্বনি।
উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি : শ, ষ, স, হ- এই চারটি ধ্বনি উচ্চারণের শেষে যতক্ষণ ইচ্ছা শ্বাস ধরে রাখা যায়, বা শিশ্ দেয়ার মতো করে উচ্চারণ করা যায়। এজন্য এই চারটি ধ্বনিকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। এগুলোর মধ্যে শ, ষ, স- অঘোষ অল্পপ্রাণ, হ- ঘোষ মহাপ্রাণ।ঃ
ঃ (বিসর্গ) : অঘোষ ‘হ’-র উচ্চারণে প্রাপ্ত ধ্বনিই হলো ‘ঃ’। বাংলায় একমাত্র বিস্ময়সূচক অব্যয়ের শেষে বিসর্গ ধ্বনি পাওয়া যায়। পদের মধ্যে ‘ঃ’ বর্ণটি থাকলে পরবর্তী ব্যঞ্জনের উচ্চারণ দুইবার হয়, কিন্তু ‘ঃ’ ধ্বনির উচ্চারণ হয় না।
কম্পনজাত ধ্বনি- র : ‘র’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ কম্পিত হয়, বা কাঁপে এবং দন্তমূলকে কয়েকবার আঘাত করে ‘র’ উচ্চারিত হয়। এজন্য ‘র’-কে বলা হয় কম্পনজাত ধ্বনি।
তাড়নজাত ধ্বনি- ড় ও ঢ় : ‘ড়’ ও ‘ঢ়’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগের নিচের দিক বা তলদেশ ওপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে দ্রচত আঘাত করে বা তাড়না করে উচ্চারিত হয়। এজন্য এদেরকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে। মূলত ‘ড’ ও ‘র’ দ্রচত উচ্চারণ করলে যে মিলিত রূপ পাওয়া যায় তাই ‘ড়’ এর উচ্চারণ। একইভাবে ‘ঢ়’, ‘ঢ’ ও ‘র’-এর মিলিত উচ্চারণ।
পার্শ্বিক ধ্বনি- ল : ‘ল’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ উপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে ঠেকিয়ে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের করে দেয়া হয়। দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে।
আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম- এদের উচ্চারণের সময় এবং ং, ঁ কোন ধ্বনির সঙ্গে থাকলে তাদের উচ্চারণের সময় মুখ দিয়ে বাতাস বের হওয়ার সময় কিছু বাতাস নাক দিয়ে বা নাসারন্ধ্র দিয়েও বের হয়। উচ্চারণ করতে নাক বা নাসিক্যের প্রয়োজন হয় বলে এগুলোকে বলা হয় আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি।
পরাশ্রয়ী বর্ণ : ং,ঃ,ঁ - এই ৩টি বর্ণ যে ধ্বনি নির্দেশ করে তারা কখনো স্বাধীন ধ্বনি হিসেবে শব্দে ব্যবহৃত হয় না। এই ধ্বনিগুলো অন্য ধ্বনি উচ্চারণের সময় সেই ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে উচ্চারিত হয়। নির্দেশিত ধ্বনি নিজে নিজে উচ্চারিত না হয়ে পরের উপর আশ্রয় করে উচ্চারিত হয় বলে এই বর্ণগুলোকে পরাশ্রয়ী বর্ণ বলে।
নিচে স্পর্শধ্বনির (ও অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধ্বনি) একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা ছক আকারে দেয়া হলো-
স্পর্শধ্বনি/ বর্গীয় ধ্বনি (বর্গগুলো এই পর্যন্ত সীমিত)
| ||||||||||
নাম
|
উচ্চারণ প্রণালী
|
অঘোষ
|
ঘোষ
|
নাসিক্য
|
অঘোষ
|
অঘোষ
|
ঘোষ
| |||
অল্পপ্রাণ
|
মহাপ্রাণ
|
অল্পপ্রাণ
|
মহাপ্রাণ
|
অল্পপ্রাণ
|
মহাপ্রাণ
|
মহাপ্রাণ
| ||||
ক-বর্গীয় ধ্বনি
(কণ্ঠ্য ধ্বনি)
|
জিহবার গোড়া নরম তালুর পেছনের অংশ স্পর্শ করে
|
ক
|
খ
|
গ
|
ঘ
|
ঙ
| ||||
চ-বর্গীয় ধ্বনি
(তালব্য ধ্বনি)
|
জিহবার অগ্রভাগ চ্যাপ্টা ভাবে তালুর সামনের দিকে ঘষা খায়
|
চ
|
ছ
|
জ
|
ঝ
|
ঞ
|
য য়
|
শ
| ||
ট-বর্গীয় ধ্বনি
(মূর্ধন্য ধ্বনি)
|
জিহবার অগ্রভাগ কিছুটা উল্টিয়ে ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশ স্পর্শ করে
|
ট
|
ঠ
|
ড
|
ঢ
|
ণ
|
র
ড়
ঢ়
|
ষ
| ||
ত-বর্গীয় ধ্বনি
(দন্ত্য ধ্বনি)
|
জিহবা সামনের দিকে এগিয়ে ওপরের দাঁতের পাটির গোড়া স্পর্শ করে
|
ত
|
থ
|
দ
|
ধ
|
ন
|
ল
|
স
| ||
প-বর্গীয় ধ্বনি
(ওষ্ঠ্য ধ্বনি)
|
দুই ঠোঁট বা ওষ্ঠ ও অধর জোড়া লেগে উচ্চারিত হয়
|
প
|
ফ
|
ব
|
ভ
|
ম
| ||||
ঃ
|
হ
|
- উল্লেখ্য, কণ্ঠ্য ধ্বনিকে জিহবামূলীয় এবং মূর্ধণ্য ধ্বনিকে দন্তমূল প্রতিবেষ্টিত ধ্বনিও বলে।
অন্তঃস্থ ধ্বনি : য, র, ল, ব- এদেরকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয়। তবে অন্তঃস্থ ‘ব’ এখন আর বর্ণমালায় নেই, এবং এখন আর এটি শব্দে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় না। তবে ব্যাকরণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত সন্ধিতে এর প্রয়োগ দেখা যায়।
কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ
ক+ত = ক্ত
|
জ+ঞ = জ্ঞ
|
ত+ত = ত্ত
|
ন+থ = ন্থ
|
র+উ = রু
|
ষ+ম = ষ্ম
|
হ+উ = হু
|
ক+ষ = ক্ষ
|
ঞ+জ = ঞ্জ
|
ত+থ = ত্থ
|
ন+ধ = ন্ধ
|
র+ঊ = রূ
|
ষ+ণ = ষ্ণ
|
হ+ঋ = হৃ
|
ক+য = ক্য
|
ঞ+চ = ঞ্চ
|
ত+ম = ত্ম
|
র+ধ = র্ধ
|
স+র = স্র
|
হ+ব = হ্ব
| |
ক+র = ক্র
|
ঞ+ছ = ঞ্ছ
|
ত+র = ত্র
|
ব+ধ = ব্ধ
|
ল+ল = ল্ল
|
স+ন = স্ন
|
হ+ণ = হ্ণ
|
গ+উ = গু
|
ট+ট = ট্ট
|
ত+র+উ = ত্রু
|
ভ+র = ভ্র
|
স+ব = স্ব
|
হ+ন = হ্ন
| |
ঙ+গ = ঙ্গ
|
ণ+ড = ণ্ড
|
দ+য = দ্য
|
ভ+র+উ = ভ্রু
|
শ+উ = শু
|
স+ত = স্ত
|
হ+ম = হ্ম
|
ঙ+ক = ঙ্ক
|
দ+ম = দ্ম
|
ম+ব = ম্ব
|
শ+র+উ = শ্রু
|
স+য = স্য
| ||
দ+ধ = দ্ধ
|
শ+র+ঊ = শ্রূ
|
স+থ = স্থ
|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
- ড় এবং ঢ় (ঘ-২০০৫-০৬)
- দন্তমূলের শেষাংশ ও জিহবার সহযোগে সৃষ্ট ধ্বনি- (ঘ-২০০৬-০৭)
- যথাক্রমে ক্ষ, ষ্ণ হ্ন- তিনটি যুক্ত বর্ণের বিশ্লিষ্ট রূপ নির্দেশ কর- (ক-২০০৫-০৬)
- পার্শ্বিক ব্যঞ্জনের উদাহরণ কোনটি? (ক-২০০৬-০৭)
- মুখ বিবরের বায়ুপথ সংকীর্ণ হয়ে কোন জায়গায় ঘষা না খেয়ে উৎপণ্ন হয় যে-ধ্বনি- (ক-২০০৬-০৭)
- বাংলা বর্ণমালার স্বরবর্ণ অংশের মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা- (ক-২০০৬-০৭)
- ‘ত্রু’ এর বিশ্লিষ্ট রূপ- (ক-২০০৬-০৭)
- বাঙালি শিশু কোন বর্গের ধ্বনিগুলো আগে শেখে? (ক-২০০৭-০৮)
- ‘ক্রমপুঞ্জিত শব্দটির যথার্থ উচ্চারণ হল (ক-২০০৭-০৮)
- ‘তৃষ্ণা’ শব্দে কোন কোন বর্ণ আছে? (ক-২০০৮-০৯)
- ‘ব্যাকরণ’ শব্দের যথাযথ উচ্চারণ হল- (ক-২০০৮-০৯)
- বাংলা অভিধানে ‘ক্ষ’-এর অবস্থান (ক-২০০৯-১০)
- কোনটি যৌগিক স্বরধ্বনি (ক-২০০৯-১০)
- যে সকল স্বরবর্ণ উচ্চারণে মুখ সম্পূর্ণ খোলা থাকে না, আবার বাতাস একেবারে বন্ধও থাকে না, সে সকল বর্ণকে বলে: (গ-২০১০-১১)
- প্রতি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্গের উচ্চারণকালের এদের সঙ্গে প্রাণ বা শ্বাস বায়ু বেশী বের হয় বলে এগুলোকে বলা হয়: (গ-২০০৯-১০)
- বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা ও অর্ধমাত্রার বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে: (গ-২০০৫-০৬)
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা: (গ-২০০৪-০৫)
আরো পড়ুন :
পিডিএফ ডাউনলোড করবার জন্য নিচে যান
আরো পড়ুন :
নিচে পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করুন
পিডিএফ ফাইল টি কেমন লাগলো কমেন্ট বাক্স এ জানাবেন .
আপনাদের মতামত পেলে আমরা উতসাহিত হব
PDF FILE DETAILS
FILE SIZE : 1 MB
Quality : High
Format : Pdf
File Location : Google Drive
DOWNLOAD : CLICK HERE TO DOWNLOAD
Please do not share any spam link in the comment box